আলমডাঙ্গা অফিস : ১২ নভেম্বর আলমডাঙ্গা মুক্ত দিবস ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে আজকের এইদিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করেন। যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী পরাজিত হলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন নান্নু মোল্লা, খন্দকার আশরাফ হোসেন আশু শহীদ হন,এ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী ও বুদ্ধিজীবি ডাঃ বজলুল হক শহীদ হন। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে । আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাঃ শাহাবুদ্দিন শাবু,বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াসুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গজনবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী। বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনদ্দিনের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মহব্বত আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌমেন্দ্র নাথ সাহা,বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক প্রমুখ।সভায় দোয়া পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহাবুদ্দিন আহম্মদ শাবু। বক্তাগন বলেন, ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা আলমডাঙ্গা থানার চারিদিকে ঘিরে ফেলে।পাক সেনাদের এক প্রকার বন্দি করে পুরা আলমডাঙ্গা শহর দখলে নেয়।মুক্তিযোদ্ধারা মুহু মুহু গুলি চালি সেদিন রাজাকার ও পাক সেনাদের দুর্বল করে ফেলে।পাক সেনারা থানার উপরে বঙ্কার করে সেখানে অবস্থান নেয়।উপজেলার সামনে পাডিয়ার “ছ” মিলের পাচিরের ওপাশে নান্নু মোল্লাকে থানা কাউন্সিলের উপরের বাঙ্কার থেকে গুলি করলে নান্নু শহীদ হন।বীর দর্পে খন্দকার আশরাফ হোসেন আশু গুলি করতে করতে থানার কাছা কাছি চলে আসলে উপর থেকে গুলি করলে খন্দকার আশরাফ হোসেন আশু শহীদ হন,এ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার শহীদ হন এবং বুদ্ধিজীবি ডাঃ বজলুল হককে তার বাড়ীতে গুলি করে হত্যা করলে বজলুল হক শহীদ হন।