পশ্চিমাঞ্চল ডেস্ক রিপোর্ট:ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, সাজা বাড়ানোর পাশাপাশি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করলেই এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে। সেজন্য সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সংশোধনী এনে যে সাজা বৃদ্ধির প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়েছে, সেটা সঠিকই হয়েছে। গতকাল সোমবার টেলিফোনে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবী এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি বিধান রয়েছে। সেখানে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যেই মামলার বিচার শেষ করার উদ্যোগ নিতে হবে। যদি শেষ না করা হয় এবং এজন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ধর্ষণের অপরাধ যারা সংঘটিত করে, তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ নাই। এজন্য ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করে বিচারের যে রায় হয় সেটা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। এটা করা গেলেই ধর্ষকেরা আর ধর্ষণে উত্সাহিত হবে না। বিচারটা এমনভাবে করতে হবে, যার প্রভাব সমাজে পড়তে বাধ্য হবে। তাহলে অপরাধ কমবে। শুধু সামাজিক আন্দোলন করেই এ ধরনের অপরাধ কমানো যাবে না বলেও তিনি মত দেন।