মেয়াদ উত্তীর্ণ বন্ধকী জমি কুক্ষিগত করার চেষ্টা। দখল পাচ্ছে না বৈধ মালিক
গাংনী অফিস: মেয়াদ উত্তীর্ণ বন্ধকী জমি কুক্ষিগত করার চেষ্টা। দখল পাচ্ছে না বৈধ মালিক মেহেরপুরের গাংনীতে রেকর্ডকৃত বৈধ মালিকানা বন্ধুকীয় জমি রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের মৃত ওহিদুজ্জামানের ছেলে বদরুজ্জামান লাল্টুর সহড়াবাড়িয়া মৌজার আর.এস খতিয়ন নং ৬২৮ আর.এস দাগ নং ৪১৪৭, শ্রেনী ভিটা জমির পরিমাণ ০৭ শতক ও একই মৌজার সাবেক দাগ ১৬২৫ আর.এস ৪১২৭ দাগে জমি কবলা দলিল মূলে ০৩ শতক মোট ১০ শতক বৈধ মালিকানা জমি জবরদখল নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষ ফজলু হক পিতা- মৃত- মইজদ্দিন, গ্রাম- সহড়াবাড়ীয়া।
বদরুজ্জামান লাল্টু বলেন, আমার বাবার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ওহিদুজ্জামান জীবিত থাকা অবস্থায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি সাংসারিক খরচ পত্রের জন্য টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় ১০ শতক জমি ২৫ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন, একই গ্রামের ফজলুর কাছে সেই থেকে ফজলু আমাদের জমিতে মুরগির খামার তৈরী করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু বন্ধকীয় জমির প্রথম চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হয় ২৮-১১-২০১৫ইং সাল।
আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় আমাকে জানিয়েছে টাকার প্রয়োজন হলে ফজলুর নিকট ০২ শতক জমি বিক্রয় করেন। জমি বন্ধক রাখা অবস্থায় আমার বাবা মৃত্যবরণ করলে।পরে আমি ফজলুকে বলি ভাই আমার বাবা তোমার কাছে জমি বন্ধক রেখেছে।
সেই জমি আমি ফেরত নেওয়ার কথা জানালে সে উক্ত জমি ফেরৎ দিতে না চাইলে আমি গাংনী থানা একটি অভিযোগ জানায়।এই অভিযোগের ভিত্তিতে এস.আই মোঃ আহসান হাবিব গ্রামের গণ্যম্যান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে ১৪/১২/২০১৯ইং সালে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। উক্ত বৈঠকে উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনিয়া ও মেয়াদ উত্তীর্ণ চুক্তিপত্রের মর্ম উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তিন শত টাকার স্ট্যাম্পে নিম্নলিখিত শর্তস্বাপেক্ষে আপোষ মিমাংসা করা হয়।
মিমাংসায় উল্লেখ থাকে যে ১ম পক্ষের নিকট তাহার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের ১০ শতক জমির মধ্যে হতে ৮ শতক জমিতে ২য় পক্ষ ফজলু মুরগির খামার ঘর করেছে।২য় পক্ষ ফজলু আগামী ১৪/১২/২০২০ সালের মধ্যে তাহার মুরগির খামার উক্ত জমি হতে উঠিয়ে নিবে মর্মে অঙ্গীকার করেন।২য় পক্ষ ফজলু ১ম পক্ষের নিকট হতে জমি বন্ধক বাবদ তার পাওনা ২৫ হাজার টাকা, ধার বাবদ আরও সাড়ে ৭ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৩২ হাজার ৫০০ টাকা নগদ গ্রহন করেন।এবং ০১ বছর সময় নেওয়ার পরেও সে মুরগির খামার উঠাচ্ছেন না, জমি দখল ও ছাড়ছেনা।সে দাবী করছে বাকী ০৮ শতক জমি আমার কাছে বিক্রয় করতে হবে।রেকর্ডকৃত জমি ২য় পক্ষ জবর দখল করে রেখেছেন বলেসে অভিযোগ করেন।তবে বদরুজ্জামান লাল্টু বিক্রয়কৃত ০২ শতক জমির ব্যাপারে আরো বলেন বাবা যখন বিক্রয় করেছেন তখন বিক্রয়কৃত জমির দলিল মূলে জমি অবশ্যই বুঝিয়া দেবো।
এব্যাপারে জানতে প্রতিপক্ষ ফজলুর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাল্টুর বাবা ওহিদুজ্জামান আমার কাছে ১০ শতক জমি বন্ধক রেখেছিলো। বন্দুক রাখা অব্থায় ৪১৪৭ দাগের ০৭ শতক জমির মধ্যে থেকে আমার কাছে ০২ শতক জমি বিক্রয় করেছে।১০ বছরের চুক্তিতে জমি বন্দুক রাখে।১০ বছরে মেয়াদ শেষ না হতে লাল্টু আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছে।এছাড়াও লাল্টুকে আমি বলেছি ভাই তোমার জমিতে আমি দীর্ঘদিন মুরগির খামার করে ব্যবসা করছি। তুমি জমিটা আমার কাছে বিক্রি করো। কিন্তু সে জমি বিক্রয় করতে রাজি না।
এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের বদরুজ্জামান লাল্টু ও ফজলু হক এর সাথে জমিজমা বন্ধক নামা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তবে এস.আই আহসান হাবিব এর সাথে কথা সাথে কথা বলেন।