মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি সড়ক এখন মরন ফাদ

লিটন মাহমুদ, গাংনী অফিস:গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক এখন মরণ ফাদে পরিনত হয়েছে। রাস্তার উপর ফসল মাড়াই,শাক সবজির ডাটা শুকানো নির্মাণ সামগ্রী রাখা ছাড়াও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সড়কে প্রতিদিন শতশত মাটি বহনকারী গাড়ী চলাচল করে।মাটি ব্যবসায়ীরা মাঠের মাটি বহন করার সময় রাস্তার উপরে মাটি পড়ে পিচ রাস্তা কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে।
ফলে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।সাহারবাটি গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা শিশুদের জন্য চরম কষ্টদায়ক।

গাংনী উপজেলার মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী বাজার, তেরাইল বাজার,ছাতিয়ান বাজারের দুপাশে ‘ছমিলের কাঠ ফেলে খারাসহ বালু ব্যবসায়ীরা রাস্তার উপর বালু রাখার কারণে চলাচল দুঃস্বাধ্য হয়ে পড়েছে।প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।অনেকেই হচ্ছেন পঙ্গু। গাংনী উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে বিষয়টি সমাধানে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,গাংনী উপজেলার সাহারবাটি চারচারা বাজার হয়ে হিজলবাড়ী মুখি রাস্তাসহ কাথুলী হয়ে মেহেরপুর সড়কের ২৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা দখল করে ফসল মাড়াই, জ্বালানী কাঠ ফেলে রাখা ছাড়াও শাক সবজির ডাটা ফেলে বীজ মাড়াই করা হচ্ছে।

সাহারবাটি, ভাটপাড়া,নওপাড়াও কুলবাড়িয়া গ্রামের রাস্তার বেশীর ভাগ দখল করেছে কৃষকরা।সবজির কাচা ডাটার উপর দিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে চালকরা দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন।এছাড়াও গাংনী বাজারের কুষ্টিয়া সড়কের অনেক স্থানে ব্যবসায়িদের বালুর স্তুপ ছিমেন্ট এর খুটিসহ দোকানের বিভিন্ন মালামাল রাখার পথচারীদের নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে।

মাইক্রো ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম জানান,সাহারবাটি রাস্তায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।একটু এদিক ওদিক হলেই জিবনহাণি ঘটতে পারে।

সাহারবাটি গ্রামের একজন কৃষক জানান,লাল শাক আবাদ করেছিলেন।শাকের বীজ মাড়াইয়ের জন্য জায়গা না থাকা ছাড়াও যানবাহনের চাকায় সহজে মাড়াই হওয়ায় তিনি রাস্তার উপর শাকের ডাটা ছড়িয়েছেন।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, বিষয়টি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।কেউ যাতে রাস্তা দখল করে অন্যের ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *