মেহেরপুরের গাংনীতে সামাজিক নিরাপত্তা চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর’র নামে থানায় জিডি করেছে এক গৃহবধূ

গাংনী অফিস:মেহেরপুরেরগাংনী উপজেলার ২ নং তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের নামে গাংনী থানায় জিডি করেছে করমদি গ্রামের সাধনা নামের একজন গৃহীনি। কে এই চেয়ারম্যান ! যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হলো না! সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা চেয়ে গাংনী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও আব্দুল হামিদ নামের ২ জনের নামে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছ্।ে যার নং-১১২৭, তাং-২৪-০৩-২১ ইং।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ২২ -০৩-২১ ইং তারিখের সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় চেয়ারম্যান একটি চিরকুটে লেখা কথাগুলো সাংবাদিকদের সামনে বলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। নইলে সাধনার পরিবারের উপর নানাভাবে হুমকি ওনানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায়।এব্যপারে সাহারুল ইসলাম ও মাহাদুল ইসলাম নামের দুজন স্বাক্ষী রয়েছে। অনিয়মের কারন দেখিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ( লিখিতভাবে ) দিলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে বার বার ক্ষমা করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন -২ প্রকল্প থেকে অভিযোগ কারী সাধনা খাতুনের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। সরকারী ঘর নির্মাণে উপকার ভোগীর নিকট থেকে ১৯ হাজার টাকা ও ২ ব্যাগ সিমেন্ট নেয়ার পরেও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নিমার্ণ করে আলোচিত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই আব্দুল বারীর স্ত্রী সাধনা খাতুন স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসক মহোদয় ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তর বরাবর দাখিল করা হলেও অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে পরিষদের একজন মহিলা মেম্বর জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর কত অভিযোগ দেবো। বিগত পাচ বছর ধরে প্রশাসনের কাছে নানা অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমাদের কখনও কোন মেম্বরকে পরিষদে ডাকে না।এলজিএসপি ২৯ লাখ টাকা যেন তেনভাবে পুরাতন প্রকল্প গ্রহন করে বেশীলভাগ টাকা পকেটস্থ করেছেন। মহিলা মেম্বরকে না নিয়ে ঘরে বসে প্রকল্পের পিআইসি করে রেজুলেশন করে নিজেই যেন তেন ভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বয়স্ক ,বিধবা, প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীনভাতা প্রদানে কার্ড করে দেয়ার নামে একাধিক জনের নিকট থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে তদন্ত করলে তার সত্যতা মিলবে। ২০২০ সালের সম্মানীভাতা আমাদের দেয়নি। ইতোমধ্যে সৌর বিদ্যুৎ সাপ্লাই করার জন্য ৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেও কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এব্যাপারে এনিয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক অনিয়ম দুনীতি যাচাই করে দৃর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারীদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *