মেহেরপুরের গাংনীতে গৃহহীনদের সরকারী ঘর নির্মাণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ
তবে নিউজটি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গী হোসেন

গাংনী অফিস :গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্প গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী ঘর নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সরেজমিনে উপজেলার করমদি কুমারপাড়া গ্রামের আ্ব্দুল বারীর বাড়িতে গেলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ইতোমধ্যেই আব্দুল বারীর স্ত্রী স্াধনা খাতুন স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর দাখিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, জমি আছে ঘর নেই এমন অসহায় গৃহহীনদের মধ্যে ঘর নিমার্ণ করে দেয়া হয়।এই ঘর নিমার্ণে ব্যাপক অনিয়ম ও দৃনর্ীতি করা হয়েছে। ঘর নিমার্ণে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়ারম্যান সরাসরি আব্দুল বারির সাথে পাকা ঘর (ইটের দেয়াল বিষ্টিত) ২ কক্ষ বিশিষ্ট বাড়ি করে দেয়ার আশ্বাসে নগদ ১৯ হাজার টাকা ও ২ ব্যাগ সিমেন্ট নিয়েও প্রতারণা করেছে। শেষ মেষ যেন তেন ভাবে নিম্নমাণের নিমার্ণ সামগ্রী দিয়ে ১ কক্ষ বিশিষ্ট ঘর করে দিয়েছে। এনিয়ে আব্দুল বাকি ও স্ত্রী সাধনা খাতুন জানান, আমার ২ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাউনির ৫ চালা ঘর ছিল। চেয়ারম্যানের কথামত সেই ঘর ভেঙ্গে ফেলে আমাকে এখন ১ কক্ষ বিশিষ্ট ঘর করে দিয়েছে। আমার ৩/৪টি ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।

মেয়ে জামাাই আসলে আমরা বাইরে রাত যাপন করে থাকি। টিনের বেড়াও ঠিকমত দেয়নি। পাটকাঠির বেড়া দিয়ে কোনরকম বসবাস করছি। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন একই গ্রামের কুমার পাড়ার আলফাজের স্ত্রী মরিয়ম নেছার নিকট থেকেও ২০হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। গ্রামে পরস্পর শোনা গেছে, তেতুলবাড়িয়া ইউপির প্রায় সব গ্রামেই ঘর নিমার্ণে অর্থ বাণিজ্য করা হয়েছে। এছাড়াও একই পাড়ার সাহারুলের বাড়িতে পূর্বে থেকে ব্যক্তিগত খরচে টিউবওয়েল স্থাপন করা থাকলেও চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার প্রকৌ শলীর নেম প্লেট বসিয়ে সরকারী টিউবওয়েল বলেএলজিএসপির প্রকল্প বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনিয়ম দুর্নীতির খবর সরাসরি অনলাইন টিভি পোর্টালে প্রকাশ করা হলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে পরদিন আব্দুল বারিকে গৃহীত ১৯ হাজার টাকা ফেরত দিতে দেনদরবার করছে বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গী আলম বলেন,সরকারী ভাবে যে বরাদ দেওয়া হয়েছে আমি সেই নিয়মে ঘর করেদিয়েছি।তবে নিউজটি বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী নিরঞ্জন চক্রবর্তী জানান, আগের তালিকায় টিন শেড এবং টিনের বেড়া বরাদ্দ ছিল। যার বরাদ্দ ছিল ৯৯ হাজার টাকা মাত্র। পরবর্তীতে ইটের দেয়াল ঘেরা আধা পাকা ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যার বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে প্রকল্প তালিকা দিতে গড়িমসি করছেন।
এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক অনিয়ম দৃর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *