মেহরপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জোরপূর্বক ঘর নিমার্ণের অভিযোগ

গাংনী অফিস:মেহেরপুরের গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জোরর্পৃবক অন্যনের জমি জবর দখল করে ঘর নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে।আদালতের নোটিশ জারি করার পরে ও প্রবাস ফেরত মনিরুল ইসলামের জমি জোরপূর্বক জমি দখল নিয়ে ঘর নিমার্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার সকালে সময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলার কালিতলা কল্যাণপুর গ্রামে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত হোসেন আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামও জামিরুল ইসলামের জমি জবর দখল করে ঘর নিমার্ণের ঘটনা ঘটেছে।
জমির মালিক মনিরুল ইসলাম জানান,আমি প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমার করমদী মৌজার আর এস ২৫০৭ দাগের জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ কল্যাণপুর গ্রামের ছলেমানের ছেলে ইদ্রিস আলী ও চাঁন্দু এঘটনায় আমি বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে সি-আর ৬/২০২১মামলা দ্বায়ের করলে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করার আদেশ দেন। এছাড়াও পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত জমিজমা নিয়া আদালতে চলিতেছে।যাহার মামলা নং দেওয়ানি৯/২০১৫,সি আর মামলা নং ২৪/২১ও ফৌঃকোঃবিঃ আইনে ১৪৪ধারা মামলা বিচারাধীন আছে।কয়েকদিন পূর্বে হইতে বিবাধীগন আমার বিরোকৃত জমিতে জোর পুর্বক ঘর করার চেষ্টা করে। আমি বাধা প্রদান করিলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য হত্যার হুমকী দেয়। পরবতর্ীতে বিবাদীদের সাথে জমাজমির বিষয় স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি।কিন্ত বিবাদীগন স্থানীয় মীমাংসা মানিয়া নেয়। তাহারা আমার জমিতে ঘর নিমার্ণ করিবেনা।সেই শক্রতার জের ধরে।আজ শনিবার সকালে প্রতিপক্ষ আসামী কল্যাণপুর গ্রামের ছলেমানের ছেলে সিদ্দিকও ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে গ্রামের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে বিপুল হোসেন, রহমান,সিদ্দিকের ছেলে মন্টু,,মৃত জুহার স্ত্রী টুনু বেগম ছেলে রনি, ফড়ং আলীর ছেলে ছানাউল্লাহ,ছানাউল্লার ছেলে মুকুল হোসেনসহ ১০/১২জন বাশের লাঠি ও হাসুয়া হাতে নিয়ে আমার বিচারাধীন জমিতে প্রবেশ করে জোর পুর্বক ঘর নিমার্ণ করছে। আমি বঁাধা দিলে আমাকে হত্যার হুমকী দিলে আমি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসি।এছাড়াও এই জমির উপর ১৪৪ধারা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, কালিতলা কল্যাণপুর গ্রামের মৃত খায়রুল্লাহ ফরাজীর ছেলে হোসেন আলীর করমদী মৌজার অন্তর্গত আর,এস ২৯৪৩ নং খতিয়ান মোতাবেক ২৫১০ নং দাগে (ধানী) ২.৫৬ একর জমির মধ্যে ১ একর জমি রেকর্ড হয়।পরবতর্ীতে রেকর্ড মুলে খারিজ ও হোল্ডিং এর অন্তভর্থক্ত হয়।যার খতিয়ান নং ৩০০৯. হোল্ডিং নং-৪০৩৬।উল্লেখ্য, বন্টননামা মূলে আর এস রেকর্ড হোসেন আলীর নামে প্রচলিত হয়্। আরও জানা গেছে, ঘোষনাপত্র দলিল নং-৭৭৭/১৮ হোসেন আলীর নিকট থেকে তার পুত্রদ্বয় মনিরুল ইসলাম ও জামিরুল ওরফে জামরুল ক্রয় সূত্রে মালিক হয়। একইভাবে ১.৩৯ শতক জমির মধ্যে.৩৯ শতক জমির মালিক মনিরুল ইসলাম ৭ টি দাগে (২৫০২,২৫০৩,২৫০৬, ২৫০৭, ২৫০৮, ২৫০৯ ও ২৫১০দাগ) হলেও প্রতিপক্ষরা গায়ের জোরে জবর দখল করে রেখেছে।আদালতে বিচারাধীন জমিতে তারা জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য:২৮অক্টোবর ২০২০ তারিখে জোরপূর্বক জমিতে থাকা বাশ টাকার ঘটনা ঘটে।ভাড়াটে দাঙ্গাবাজ ,লাঠিয়াল নিয়ে আদালতে বিচারাধীন জমি তার দিয়ে বেষ্টিত জোরপূর্বক দখল করে বাগানের একাধিক গাছ কর্তন করেছে বলে অভিযোগ করেন,জমির মালিক মনিরুল ইসলাম।দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ আপোষ মিমাংসা করতে গাংনী থানায় উভয় পক্ষকে নিয়ে সামাজিক শৃংখলা রক্ষায় একাধিকবার সকলকে নিয়ে বন্টন নামা করার কথা বলা হলেও তা মানা হয়নি।তারপরও প্রতিপক্ষ আবুবক্কর সিদ্দিকের নির্দেশে গ্রামের ও পরিবারের ১৫/২০ জন লোক আইন অমান্য করে জমি জবরদখল করেছে।
আবুবক্কও সিদ্দিকের নিকট থেকে ভ্থূয়া কাগজ পত্র দেখে প্রতিবেশী মৃত ফড়ং এর ছেলে সানাউল্লাহ ভূয়া দলিল করে ক্রয় করে জবর দখল করেছেন।দীর্ঘদিন জমি মনিরুল ও জামরুলের দখলে থাকলেও আবুবক্কর সিদ্দিকের নির্দেশে সানাউল্লাহ তার ভাড়াটে দাঙ্গাবাজ,লাঠিয়াল বাহিনী কালিতলা কল্যাণপুর গ্রামের সানাউলের ছেলে মুকুল, সোলায়মানের ছেলে ইদ্রিস, সিদ্দিকের ছেলে মন্টু, টুটুল, আন্টুু ইদ্রিসের ছেলে মনি,মনরউদ্দীনর ছেলে জিয়া, নিহার ফকিরের ছেলে সুলতান, সুলতানের ছেলে হেলাল, রসুল মোল্লার ছেলে আসলাম, আলী হোসেনের ছেলে মঙ্গল, দেওয়ান আলীর ছেলে ওমর আলী, আজিজুলের ছেলে বিপুল আরও কয়েকজন সম্প্রতি বাগানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে জমি জবরদখল করেছে।
এনিয়ে মনিরুল ইসলাম জানান, আমার বাবা হোসেন আলী পৈত্রিক সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে দলিল খারিজ খতিয়ান করে ভোগ দখল করে আসছি।আমরা দলিল মোতাবেক খারিজ করে খাজনা দিয়ে আসছি আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারনে।পক্ষান্তরে গ্রামের একদল ভূমি গ্রাসী আমাদের জমি জবর দখল করেছে।তারা যে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করছে। জমিতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।তার পরেও তারা জোরপূর্বক জমিতে থাকা গাছ কেটেছেও তাঁরের বেড়া ভেঙ্গে দিয়েছে।দাঙ্গাবাজরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।আমাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।
প্রতিপক্ষ আবুবক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, আমরা কালিতলা কল্যাণপুর গ্রামের বিবিজান বেওয়া (সম্পর্কে দাদি) নিকট থেকে ওয়ারিশ সূত্রে বন্টননামা বলে কোর্টেও রায় পেয়ে প্রতিবেশী সানাউল্লাহর কাছে জমি বিক্রয় করেছি।আমাদেরও দলিল রয়েছে। তবে আমাদের নামে আরএস রেকর্ড বা খারিজ –খাজনা হয়নি।
সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন,আমি মুর্খ মানুষ আবুবক্কর আমার নিকট ২৫বছর আগে জমি বিক্রয় করেছে।আমি জমি খারিজ করতে পারিনি কারণ আবুবক্করের নামে কোন রেকর্ড নেই।সে আমাকে বলে তোমার জমি আমি ঠিক করেদেব।
এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান,কল্যাণপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের পক্ষ থেকে লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *