পশ্চিমাঞ্চল অনলাইন ডেস্ক:আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলিনি। আমরা তো ২০১৮ সালের নির্বাচনই মানি না। সেটাকেই অবৈধ বলছি। সেটাকেই বাতিল করার কথা বলছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সকল উপ-নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামী ১৯ অক্টোবর সোমবার সারা দেশে মহানগর ও জেলা সদরে এবং ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার থানা/উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি দেয়া হয়।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি পাবনা, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ এর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতই ত্রাস সৃষ্টি করে এবং কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সীল মেরে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দিয়ে ভোট ছিনতাই করে। নির্বাচন কমিশন নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করে। রিটার্নিং অফিসার ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকারের চরম ব্যর্থতা সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয় দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ধর্ষকদের সরকারি দলের প্রশ্রয় অথবা ধর্ষকরা সরকারি দলের সদস্য বলে তাদের অপরাধের কোনো বিচার হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষকে চরম বিপাকে ফেলেছে। সরকারি দলের মদদপুষ্ট এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও সরকারি ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতায় ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে অপপ্রচার করলে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি সংবিধানবিরোধী। মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারের বিরোধী এটা। অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম থেকেই আমরা বলেছি ম্যাডাম অসুস্থ। আমরা বরাবরই তার এডভান্স ট্রিটমেন্ট (উন্নত চিকিৎসা) চেয়েছি। এখানের ডাক্তার যারা আছেন তারা বলেছেন, তার এডভান্স ট্রিটমেন্ট (উন্নত চিকিৎসা) দরকার। সেই এডভান্স সেন্টার তো (উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা) আমাদের এখানে নেই। হয়তো ট্রিটমেন্ট আছে, কিন্তু আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো নেই।

বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে আমরা কোনো উদ্যোগ নেইনি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি যে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাসায় এসে অন্তরীণ হয়েছেন সেটাও পরিবারের উদ্যোগে সরকার ব্যবস্থা করেছে। তিনি তো মুক্ত নন। বলা হয়েছে যে- সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলে তো তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকার কথা না। পার্থক্য হয়েছে এটুকুই তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। হোমলি পরিবেশের মধ্যে আছেন। যাকে সোজা কথায় বলা যায় গৃহে অন্তরীণ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *