দর্শনা অফিসঃ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুরে সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে গ্রামের মাহাম্মদের বিরদ্ধে। সে সড়কের ধারে থাকা সরকারী কয়েকটি মূল্যবান গাছ কেটে ফয়দা লুটেছে। এতে করে মাহাস্মদ আর্থিক ভাবে লাভবান হলেও সরকারী সম্পদ বিক্রি করার সহসে হতবাক হয়েছেন সচেতন মহল।জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে রয়েছে বেশকিছু খাঁস সম্পত্তি। এসম্পত্তির উপর রয়েছে বেশ কিছু মুল্যবান গাছ-গাছড়া। আর এ সকল দেখ ভাল ও রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব সেখানে বসবাসরত মানুষের। কিন্তু সে নিয়ম-কানুনকে উপেক্ষা করে সড়কের উপর থেকে প্রকাশ্যে-জনসম্মখে একটি মূল্যবান শিশু ও দুটি আমগাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে গ্রামের মৃত মান্দার আলীর ছেলে মাহাম্মদ ওরফে টেমা। এতে নিজ স্বার্থ হাছিল করে মাহাস্মদ আর্থিক ভাবে লাভবান হলেও সরকারী সম্পদ বিক্রি করার সাহসে হতবাক হয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। আর এ গাছ খরিদ করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে পার্শ্ববর্তী তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটসলুয়া গ্রামের আহাদ নামের এক গাছ-কাঠের ব্যাপারী।এদিকে সরকারী গাছ নিজের বলে দাবী করেন অভিযুক্ত মাহাম্মদ। তিনি বলেন,আমি সরকারী গাছ কাটবো কেন। যে গাছ কেটে বিক্রি করেছি সেগুলো আমার নিজস্ব গাছ।এবিষয়ে গ্রামের মৃত. এবারত মন্ডলের ছেলে আবুল হোসেন বলেন, জমির মালিক আমার নানা এরশাদ মন্ডল। আর আমার নানি আলাদির অংশ মা-সাইবা খাতুন পাই।যে স্থান হতে মাহাম্মদ গাছ গুলো কেটেছে সেগুলো সরকারী গাছ। তবে গাছ কাটার স্থানে রয়েছে আমাদের জমি। ওই জমি মাহাম্মদ নিজের বলে দাবী করলে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতে ১০/১২ বছর আগে মাহাম্মদ ও সহদর আক্কাসের বিরুদ্ধে মামলা করি। মামলার একপর্যায় গত ২০১৮ই-খ্রীঃ আমাদের পক্ষে জমির রায় দেয় আদালত। এজমি দখল দিতে মাহাম্মদ গঙ অপরগতা প্রকাশ করলে আমরা আদালতে ১৪৪ ধারা জানিয়ে অভিযোগ করি। এতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আপনারা উভয় পক্ষ তফসীল ভুক্ত নালিশী জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে।কিন্তু এতে বাদীপক্ষ আদালতের নির্দেশ মানলেও আসামীপক্ষ আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জমির উপর বা সড়কের গাছ নিজের বলে দাবী করে দফায়-দফায় গাছ কর্তন করে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন হলো দফায়-দফায় মাহাম্মদ যে গাছ কেটে বিক্রি করছে সে গাছের মালিক কিভাবে হলো। হয় মামলা ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমির নতুবা সরকারী সড়কের উপরের গাছ। যেহেতু জমি নিয়ে মামলা চলছে সে জমির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মালিক সরকার আবার জমির পশের অংশ সড়কের জমিও সরকার। তাহলে গাছের মালিক কিভাবে হয় মাহাম্মদ।বিষয়টি সংশিষ্ট বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের সু-দৃস্টি কামনা করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের মাধ্যে শাস্তির দাবী জানিয়েছে।এবিষয়ে বেগমপুর ইউনিয়নের সহকারী কর্মকর্তা (ভুমি) আতিকুল হক বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি। তবে আজ বুধবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।