পশ্চিমাঞ্চল রিপোর্ট: নদ-নদী ঘেরা আমাদের এই নদী মাতৃক দেশ সোনার বাংলাদেশ। হাজারো গ্রাম বাংলার দেশ আমাদেরই সোনার বাংলাদেশ।
মাছের জন্য নদীর পাড়ে জেলেদের বসবাস। মাছ ধরে বিক্রি করেই জেলেরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। নদীর সাথে যাদের বাড়ী তারা কোন না কোন ভাবে নদী আর মাছের সাথে যুক্ত আছেই। নদী যেন তাদের নাড়ীর সাথে এক সূত্রে গাঁথা।
অতি সুক্ষè খরা জাল দিয়েও এখন দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ এ অঞ্চলের নদ-নদী ও খাল-বিলগুলো থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা৷ মাছের না পাওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসী বলছেন, শিং, মাগুর, কৈ, মহাশৈল, গজার, বোয়াল, বাইন, টেংরা ও পাবদাসহ এসব মাছ এখন আর গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে খুব একটা চোখে পড়ে না। বর্ষার শুরু ও শেষ সময়ে নদী, নালা, খাল-বিল,পুকুর ও ডোবা থেকে প্রচুর পরিমান দেশীয় জাতের ছোট বড় অনেক মাছ পাওয়া যেত। সে মাছ ধরার জন্য গ্রাম বাংলার সকল শ্রেণীর মানুষ মাছের জন্য নদীর তীর, খাল ও ডোবার পাশে মাছ ধরায় কাজে ব্যস্ত থাকত।
এখন আর সেই মাছ নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে পরে দ্রুত ফসল ফলাতে জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি ও দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে নদীনালা খাল-বিল ভরাট হওয়ায় কলকারখানার বর্জ্য ও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা নগরায়নের ফলে প্রকৃতির উপর বিরূপ প্রভাব পরছে। বিষাক্তবর্জ্য দূষিত করছে পানি আর বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় মাছ। এর ফলে দিন দিন দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে ছোট ছোট পোনা মাছ নিধন করার ফলেও মাছের উৎপাদন কমে গেছে। তাই, নদ-নদী, বিল-খাল ও ডোবা-নালায় দেশীয় প্রজাতির যেই পরিমাণ মাছ আগে পাওয়া যেত এখন সেই নদ-নদী, বিল-খাল ও ডোবা-নালাগুলি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে দেশীয় মাছের উৎপাদন ও প্রাপ্তি শূণ্যে কোঠায় নেমে এসেছে। উচ্চ ফলনশীল মাছ চাষের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে দেশের মাছের চাহিদা পূরনে।
এবিষয়ে অভিজ্ঞ মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন আমরা মাছের চাহিদা পুরনে সরকারী উদ্যোগে মাছ চাষে জেলেদের ও এলাকার বেকার যুবকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। এখন উচ্চ ফলনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল বিভিন্ন প্রজাতির চাষের মাছ পাওয়া যায়।
মৎস্য কর্মকর্তারা আরও বলেন, দেশে এখন মাছের অভাব নেই। তারপর নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরার জন্য জেলেদের অনেক সময় আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের সচেতন করা হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *