পশ্চিমাঞ্চল অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট :একজন রাজনৈতিক কর্মীর বাসায় অস্ত্র, গুলি এবং ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা পাওয়া যাওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মী দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর।

সোমবার পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।

বিচারক বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করলে তাদেরকে রাজনৈতিক কর্মী বলা যায় না। তারা তথাকথিত রাজনীতিবিদ। তারা নিজেদের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। কোনোভাবেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেননি। এটা রাজনীতির জন্য কলঙ্কজনক।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের এই দণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একই সঙ্গে চলবে।

রায় ঘোষণার আগে পাপিয়া ও সুমনকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। রায় পড়ার সময় পাপিয়া নীরব ছিলেন। বিচারক যখন তাদের কারাদণ্ডের আদেশ দেন তখন পাপিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশত্যাগের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে পাপিয়ার নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৩টি চেক, ৫টি পাসপোর্ট, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র‍্যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *