দর্শনা অফিস/হিজলগাড়ি প্রতিনিধিঃযে কোন ভোটের আনাগোনা মানেই মানুষের মাঝে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। মনে জাগায় নতুন শিহরণ। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে প্রার্থী হবার ব্যপারে প্রার্থী এবং সমর্থকদের মধ্যে চলতে থাকে ভিন্নমাত্রার আলোচনা। নিজেকে মেলে ধরতে ভিন্ন কৌশলী হয়ে ওঠে প্রার্থীরা। আর প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা দেখে সমর্থকেরা হয়ে ওঠে উজ্জেবিত। তারই অংশ হিসাবে চুয়াডাঙ্গার নবগঠিত নেহালপুর ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগের মনোনয় প্রাত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল আজম মিন্টু করেছেন বিশাল এক মোটরসাইকেল শোডাউন। শোডাউনটি ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে। শোডাউনের মধ্যদিয়ে মিন্টুকে নিয়ে রাজনৈতক মহলে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। সেই সাথে সমালোচকদের পাল্টে গেছে ধ্যান ধারণা। চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদ বিভক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়ন। একটি ইউনিয়ন ভেঙ্গে দু’টি ইউনিয়ন হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোতে যেমন সৃষ্টি হয়েছে নতুন নেতৃত্ব। তেমনি আবার কেউ দলীয় পদের চাইতে জনপ্রতিনিধি হবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন থাকে। আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গুটিগুটি পায়ে হাটা শুরু করেন। একটি পর্যায়ে এসে লক্ষ্যস্থলে পৌছাতে শুরু করতে হয় দৌড়। প্রতিযোগিতায় প্রার্থীর সংখ্যা অনেক থাকলেও লক্ষ্যস্থলের শেষ পর্যন্ত পৌছায় একজন। তেমনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্নে বীজ বুনতে থাকেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দু’ই দু’বারের নির্বাচিত সভাপতি, হিজলগাড়ী বাজারের বিশিষ্ট ভুষীমাল ব্যাবসায়ী আ.লীগ নেতা সাইফুল আজম মিন্টু। আ.লীগের মনোনয় প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু জনপ্রতিনিধি হয়ে মুনুষের সেবা করার মনোবাসনা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে গণসংযোগ এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে দোয়া চেয়ে আসছেন। নিজের অবস্থান জানান দিতে গতকাল রোববার বিকাল ৩ টার দিকে ইউনিয়নের হিজলগাড়ী স্কুল মাঠ থেকে বের করেন এক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন। প্রায় দু’শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ইউনিয়নের বোয়ারিয়া, নেহালপুর, কুন্দিপুর, দোস্ত, ডিহি, সুবদপুর, বোয়ালমারি, রোনগোহাইল, কোটালী, নলবিলা গ্রামের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন। এসময় মোটরসাইকের চালকদের স্বঃস্ফুত অংশ গ্রহণে গোটা ইউনিয়ন মুখোরিত হয়ে ওঠে। মোটরসাইকেল শোডাউনের গ্রামভিত্তীক নেতৃত্বে ছিলেন, বোয়ালিয়ার কাজল, শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন, নেহালপুরের ইউনিয়ন আ.লীগের আহবায়ক মোবারক হোসেন, আসাদুল, জামাল, হিজলগাড়ীর মীর মফিজ উদ্দিন, আলী কদর মেম্বর, ডাক্তার কামাল হোসেন, মমিন, নুহুনবী, নলবিলার মিল্টন বিশ্বাস, আওয়াল হোসেন, কুন্দিপুরের বদিয়ার, জাহিদ, আত্তাব, মহি, দোস্তর রিপন,, ডিহির, মিঠু, রাশেদুল, সুলতান, জামাল, রনগোহাইলের এনামুল, ডাক্তার পাড়ার সাদ্দাম, ইয়ামিন, সাজেদুর, মল্লিক পাড়ার জান মোহাম্মদ, মজিবার, কোটালী গ্রামের আজমুল, সেলিম, শহিদুল ও আবুল কালাম। শোডাউনের সামনের নির্দেশনায় ছিলেন রাশেদুল ইসলাম পিনা। এদিকে নির্বাচনের দিনখন ঠিক না হলেও আগেভাগে বিশাল এ মোটরসাইকেল শোডাউন দেখে রাজনৈতীক মহলে মিন্টুকে নিয়ে আলোচনায় নতুন মাত্রায় রূপ নিয়েছে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে তাহলে কি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু হচ্ছে ? বিশাল এ শোডাউনের পর থেকে অনেকেরই কপালে ভাজ পড়তে শরু করেছে।