স্টাফ রিপোর্টার: নুতুন উদ্যোমে আবারো শুরু হলো চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কার্যক্রম। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাঁতার কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান। সাঁতার কাটার পূর্বে জেলা নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গার মনুষের জন্য এ প্রতিষ্টানটি আর্শিবাদ সরূপ। কারণ আগের মত মানুষের সাঁতার কাটা,গোসল করার জন্য আর খোলা জলায়শয়,পুকুর,হাওড়-বাওড় খঁুজে পাওয়া যায় না। যেখানে মানুষ সাঁতার বা খেলায় খুশি মত গোসল করতে পারে। আবার যেগুলো আছে তা মাছ চাষীদের দখলে। আবার যে সকল নদী,বিল হাওড়-বাওড় আছে সেখানে তো ময়লা-আর্বজনা আর দুষিত পানির দূর্গন্ধে গোসল বা সাঁতার কাটা যায় না। গ্রাম অঞ্চলে যে টুকু গোসল বা সাঁতার কাটার জায়গা আছে শহরে নেই বললেই চলে। তাই জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় শারীরিক কসরত সাঁতার জানা শহুরে ছেলে মেয়েদের জন্য অপ্রতুল হয়ে উঠেছে। তাই আমি চুয়াডাঙ্গার সকল অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানাবো চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে স্বল্প খরচে আপনার সন্তানদের সাঁতার শিখিয়ে নেন। বর্তমানে সাঁতার জানা শুধু অনাকাংক্ষিত দূর্ঘটনা কালীন জীবন রক্ষা নয়। পেশাগত জীবনের জন্য ও যে কোন ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে সাঁতার জানা আবশ্যক। বিশেষ করে সেনা,নৌ,বিমান ও বিজিবির চাকুরীর ক্ষেত্রে এবং ক্যাডেট কলেজ বা বিদেশের কোন ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলেও সাঁতার জানার বাধ্য-বাধকতা আছে। তাই সাঁতার শেখা সকলেরই প্রয়োজন। প্রতিষ্টানের সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, সাঁতার শেখার কোন বয়স নেই। শুধু পেশাগত দক্ষতার জন্যই নয় শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতেও সাঁতার বা জলব্যায়ামের প্রয়োজন। আমরা আলাদা ব্যাজে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণের পাশা-পাশি এডাল্টদেরও সুইমিং করার ব্যবস্থা করছি। তাই যে কেউ ইচ্ছে করলে চুয়াডাঙ্গা শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষন কেন্দ্রে ভর্তি হতে পারেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক পত্নী সৈয়দা তাহমিনা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজ, শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ইনচার্জ নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার,প্রধান প্রশিক্ষক সাংবাদিক ইসলাম রকিব প্রমুখ।