দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় নমুনা শস্য কর্তন (ক্রপ কাটিং) কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার সদরে মুক্তারপুর মাঠে কৃষক শওকত আলীর ব্রীধান- ৯৮ জাতের ফসলী জমিতে নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
দামুড়হুদা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, খাটোবাবু, ব্রীধান- ৮২, ব্রীধান- ৪৮ জাতের ধান অন্যতম। কিন্তু এবছর ব্রীধান- ৯৮ সকলের নজর কেড়েছে। নতুন উচ্চ ফলনশীল ব্রীধান- ৯৮ জাতটি এবছর প্রথম আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশ অনেক ভালো।
নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো: মোমরেজ আলী,
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম, চাঁদনী খাতুন, কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল হাই, নাজমুল, শিউলি খাতুন, বনি আলী প্রমূখ।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, নতুন উচ্চ ফলনশীল ব্রীধান- ৯৮ জাতের সম্প্রসারণে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর আউশ ধানের আবাদ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে এবছর ব্রীধান- ৯৮ উপজেলায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এই জাতটি এবছর নতুন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটি খুবই উচ্চ ফলনশীল জাত। সচরাচর বাতাসে অন্য জাতের ধানগুলো মাটিতে হেলে পড়ে কিন্তু ব্রীধান- ৯৮ জাতটি সহজেই মাটিতে নুয়ে পরেনা। এটি শক্ত ও সবল থাকে। অন্য জাতের তুলনাই এর হেক্টরপ্রতি ফলন বেশি। এই ধানের হেক্টরপ্রতি ফলন ৬ টন, প্রতি বিঘায় ২০ মনের বেশি উৎপাদন হয়। এই ধানে খরচ কম, পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। ফলে এটা সাশ্রয়ী। উৎপাদন সময়কালও কম। এই ধান বৃত্তাকার পদ্ধতিতে কর্তন করলে সঠিক ফলন পাওয়া যাই। বৃত্তাকার পদ্ধতিতে কর্তনকৃত জমির পরিমাণ ২০ বর্গমিটার এবং বৃত্তের ব্যাসার্ধ ২.৫২৩ মিটার। কর্তনকৃত জমির প্রাপ্ত কাঁচা ধানের ওজন ১৪.৮ কেজি। শুকনা ফলন ১২.৫৯ কেজি। হেক্টর প্রতি চাউল উৎপাদন হয় প্রায় ৪.১৫ মেট্রিক টন। এবছর ব্রীধান- ৯৮ জাতটি নতুন সম্প্রসারণ হচ্ছে। প্রথম বছরে আমরা প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি। এটি উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়ায় আশা করছি আগামী বছর এর ব্যাপক চাষাবাদ হবে। চাষিরাও এই
ব্রীধান- ৯৮ জাতের ধান আবাদ করে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।