দামুড়হুদায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে
রক্ষা পেল না গ্রামীন পানি সরবরাহ প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ের পাবলিক টয়লেট
দামুড়হুদা প্রতিনিধিঃ দামুড়হুদায় সওজের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেন খুলনা জোনের সড়ক ভবনের উপসচিব, ষ্টেট ও আইন কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায়।অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান থেকে রক্ষা পায়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়নে গড়া অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের ১২ লক্ষ ৩০ হাজার ৮ শ পঞ্চাশ টাকা ব্যায়ের পাবলিক টয়লেটটি।
জানা গেছে, সড়ক বিভাগের পক্ষে থেকে অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে দখলমুক্ত করে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গতকাল দামুড়হুদা উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক বিভাগের ( সওজ) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এর আগে সড়ক
বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্রিকাতে গণবিগপ্তি জারি ও মাইকিং করা হয়। সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে দখলদাররা কেউই জায়গা ছাড়তে চাননি। ফলে গত সোমবার সওজের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা চালানো হয়েছে। সোমবার দুপর থেকে রাত ৭ পর্যন্ত চলা অভিযানে দামুড়হুদাতে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং অবৈধ দখল থেকে প্রায় দুই শতাধিক কাঁচাপাকা অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এতে ভেঙে পড়ছে টিন, উপড়ে ফেলা হচ্ছে লোহার খুঁটি। একটার পর একটা স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। এসব স্থাপনা ও দোকানের মালিক ভেঙে ফেলা ঘরের ইট, কাঠ,বাশ, লোহার রড, টিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিচ্ছেন। কয়েক শ উৎসুক জনতা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান দেখেন।
সওজ চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত মজুমদার বলেন, ‘আমরা অনেকবার দখলদারদের জায়গা ছাড়ার জন্য প্রত্রিকার মাধ্যমে গণ বিঙ্গপ্তি দিয়েছি। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে সেভাবে চিঠি করা হয়নি বা জানানো হয়নি। তবে মাইকিং করা হয়েছে। এরপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে তিনি সরকারি অর্থায়নে গড়া পাবলিক টয়লেট টি উচ্ছেদের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার এরশাদুজ্জামান মৃদুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন এটা ভেঙ্গে দেওয়া হলো আমার বোদগম্য নয়।এখান থেকে তো সাধারণ জনগণ সুবিধা ভোগ করে থাকেন এতে আমাদের কোন সুবিধা নেই। তিনি আরো বলেন,বিষটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত – আমাদের বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্য করার জন্য কাজটি করা হয়েছে। আমাদের এ প্রতিনিধির অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানিয়েছি আজ লিখিত ভাবে জানানো হবে।
উল্লেখ্য যে,২০১৮-১৯ অর্থবছরে অগ্রাধিকার মূলক গ্রামীন পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন টয়েলেটটি নির্মানের জন্য স্থান নির্ধারিত করে দেন।এর ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর চুয়াডাংগা তা বাস্তবায়ন করে সেখানে নির্মাণ করা হয় ৪ টি প্যান,১ টি বাথরুম, ১ টি ব্যাচিং ও ২ টি ইউরিনাল।নির্মান কৃত টয়েলেট টি ২০২০ উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়,যা বেশকিছু দিন আগে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এসময় অনেকেই ক্ষোব প্রকাশ করে বলেছেন,সরকারের অর্থায়নে নির্মিত পাবলিক টয়েলেট সরকারের কর্মকর্তারাই গুঁড়িয়ে দিচ্ছিন।এটা তে কি সরকারের মোটা অর্থ অপচয় নয়? গতকাল বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা সদরের টক অব দা ভিলেজে পরিনত হয়েছে।