দর্শনা অফিসঃ দর্শনা মাথাভাঙ্গা নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া বৃদ্ধ ওয়াজেদ আলীর লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ। দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।  গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী (৬৫)। সে বাড়ির অদূরে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে যায়। তার পর থেকে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান না পাওয়ায় তাদের ধারনা গোসল করতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে ওয়াজেদ আলীর হয়তোমৃত্য হয়েছে এবং তার লাশ নদীর স্রোতে ভেসে ভারতের অভ্যান্তরে চলে গেছে।সে নিখোঁজের ৭ দিন পর গত ২৮শে সেপ্টেম্বর সোমবার ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানার বিজয়পুর গোবিন্দপুর ব্রিজের নিকট মাথাভাঙ্গা নদীর শাখায় জেলেদের মাছ ধরার বেশালীতে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশের খবর দিলে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ওই লাশের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভারতে থাকা ওয়াজেদের আত্মিয়-স্বজনদের নজরে। পরে মোবাইল ফোনে ওয়াজেদ আলীর পরিবারকে জনায় এবং লাশের ছবি পাঠায়।সে লাশ দেখে পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারে।তারপর থেকে লাশ ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করে। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ওয়াজেদ আলীর লাশ ফেরত পায় পরিবার।ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই রাজেন্দ্র কুমার মল্লিক লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।দর্শনা থানার এসআই শরিফুল ইসলাম লাশ গ্রহণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভারত এর বিএসএফ গেঁদে ক্যাম্পের কমান্ডার এসি নগেন্দ্র নাথ, বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল বারেক মোল্লা, দর্শনা চেকপোস্ট কমান্ডার হাবিলদার মিজানুর রহমান, দর্শনা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে মাওলানা রুহুল আমীন জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার বাবা মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা যায়। এরপর নদীর স্রোতে লাশ ভেসে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে বিজিবির মাধ্যমে আবেদন করে ১৮ দিন পর লাশ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *