দর্শনা অফিসঃ দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে বাসে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালক ও যশোর গামী সুগন্ধা পরিহনের সুপার ভাইজারের মধ্যে বিরোধ হয়। এতে সিএনজি চালকের রডের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় পরিবহনের সুপার ভাইজার সিজার। এ ঘটনার প্রতিবাদে দর্শনা-যশোর সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে পরিবহন চালেকেরা। প্রায় ৩ ঘন্টা সড়কে বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। এতে বাস যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হয় শিকার।জানাগেছে, গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-যশোর গামী সুগন্ধা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো জ-১১-০০৫২) নং গাড়িটি দর্শনা বাসকাউন্টারে দাঁড়ায়। এসময় যশোর যাওয়ার এক যাত্রী পরিবহনে না উঠে কাউন্টারের নিকটবর্তী থাকা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা সিএনজিতে ওঠে। এসময় পরিবহনটি কাউন্টার অতিক্রম করে সিএনজি স্ট্যান্ড হতে যাত্রীকে বাসে তোলে। এ যাত্রী বাসে তোলাকে কেন্দ্র করে সিএনজি (থ্রী-হুইলার) চালক ও পরিবহনের হেলপার-সুপার ভাইজারদের মধ্যে বাকবিন্ডা সৃস্টি হয়। এরই এক পর্যায় সিএনজি চালক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সিজার নামের এক বাস সুপার ভাইজারকে।প্রতিবাদে দর্শনা-যশোর সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে পরিবহন চালেকেরা। এ সময় প্রায় ৩ ঘন্টা সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাস যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হয় শিকার। দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাকির হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা যশোর গামী সুগন্ধা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো জ-১১-০০৫২) দর্শনা সিএনজি স্ট্যান্ডের কাছ থেকে এক যাত্রীকে বাসে তোলে। এতে সিএনজি চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাসের সুপার ভাইজার চুয়াডাঙ্গা দৌলতদিয়ারের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে সিজার হোসেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। দর্শনা থানায় অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।এবিষয়ে সুপার ভাইজার সিজার হোসেন জানান, যাত্রীটি যশোর যাবে বলেই আমি বাসে তুলেছিলাম। যদি নিকটে কোথাও গেলে আমি বাসে তুলতাম না। তার পরেও যদি ভালভাবে বলা হতো সেখানে বিবেচনা করা যায়, তা না করে সিএনজি চালক মিলন ও
জাহাঙ্গীর লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমার সাথে থাকা বাস চালক নান্টু মিয়া আমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাটি আমি জেলা মটরশ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদককে জানিয়েছি। দুপরের দিকে দর্শনা থানায় দু’জনের নাম উলেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ আসামী না ধরলে পরবর্তীতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে এর জন্য কাউকে দায়ী করা যাবে না।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন মোল্লা জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়কে চুয়াডাঙ্গা জেলার বাস দুই ঘন্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল, রাতের মিটিংয়ে কর্মসুচি ঘোষণা হতে পারে ।