দর্শনা অফিসঃদর্শনায় আবাসিক হোটেল থেকে পরকিয়া জুটিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাদেরকে দর্শনা থানা পুলিশ আটক করে।সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার শবুনা গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে কুষ্টিয়া মিরপুর সেক্টর বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়ননের বিজিবি সদস্য সোহেল রানা (৩৮) ওনড়াইল জেলার সিন্দিয়ার শফিকুল মোল্লার কলেজ পড়ুয়া কন্যা হেনা খাতুন (২৩)।পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াই টার দিকে কুষ্টিয়া মিরপুর সেক্টরের বিজিবি সদস্য সোহেল রানা (৩৮) ও হেনা খাতুন (২৩) নামের দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের হিমেল আবাসিক হোটেলে ওঠে। এসময় হোটেলের রুম বুক চাইতে গেলেকতৃপক্ষ তাদের পরিচয়পত্র ও কাবিননামা চাইলে অভিযুক্ত সোহেল রানা তার পকেট হতে  বিজিবি সদস্যর একটি পরিচয়পত্র দেয় এবং বলে এটা হলেই চলবে। এসময় হোটেল মালিক হিমেল তাদের কথা বার্তা অসঙ্গতি পেলে দর্শনা থানা পুলিশের খবর দেয়। এসময় সোহেল রানা ও হেনা হোটেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হোটেলের প্রধান গেট আটকে দেয়। ঘটনা স্থলে দর্শনা থানা পুলিশ পৌছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বামী-স্ত্রী না বলে অকপটে স্বীকার করে।এসময় তাদেরকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার শবুনা গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে সোহেল রানা (৩৮)। সে কুষ্টিয়া মিরপুর সেক্টরের ৪৭ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সদস্য। যাহার পরিচয়পত্র নং ৪৪৪১৪৩৩ এবং ব্যাক্তিগত নাম্বার (৬৪২৮৫) ওহেনা খাতুন (২৩) নড়াইল জেলার সিন্দিয়া গ্রামের শফিকুল মোল্লার কলেজ পড়ুয়া  কন্যা। আটকৃত হেনা খাতুন জানান, আমাদের ৫/৬ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। এরপর থেকেই আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখে আমাকে যশোরে দেখা করতে বলে। আমি যশোরে গেলে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হোটেলে রাখে। এর পর থেকেই আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। আজ আবারো আমাকে দর্শনা আসতে বলে দর্শনায়। দর্শনা আসলে আমাকে স্ত্রী পরিচয়ে হিমেল আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে আমাদের পুলিশ আটক করে।                     আটককৃতদের দর্শনা থানা কাষ্টরিতে রাখা হয়েছে এবং আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন দর্শনা থানা পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *