স্টাফ রিপোর্টারঃ সব খেলাতেই থাকে জয় পরাজয়। খেলা শেষে খেলোয়াড়রা মেলাতে থাকেন তাদের হিসাব নিকাশ। তবে জীবনের সব হিসাব সব সময় মেলে না। আর যখন হিসাব মেলে না ঠিক তখনই নানা সন্দেহের জন্ম দেয়। আবার অতি চালাকি করতে গিয়ে কখনও, কখনও তা বুমেরাঙ্গ হয়ে দেখা দেয়। তেমনি ঘটনা ঘটেছে দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে। অন্যকে ঠকাতে গেলে নিজে যে ঠকতে হয় সে হিসাব কষাছিলো না পরিকল্পনাকারীদের। লিফলেট ছাপিয়ে স্বপ্নপুরণ করতে গিয়ে বুমেরাঙ্গ হয়েছে তাদের।
দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন মানে অনেক কিছু। সে কাংঙ্খিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি। ভোট গ্রহণের পূর্বের রাতে একটি চক্র অপরকে ঠকাতে এবং নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে একটি নীল নকশার লিফলেট তৈরী করেন। যেখানে সভাপতি প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ সবুজ ও সাধারন সম্পাদকের ছবির নীচে যগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পদে মোত্তাফিজুর রহমান, খবির উদ্দিন, সহ-সভাপতি পদে এএসএম কবির ও মফিজুল ইসলামের নাম ছিলো। ভোট গ্রহণের আগমুহুর্তে এ লিফলেট ভোটারদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হলে চাপাক্ষোভের সৃষ্টি হয় ভোটারদের মধ্যে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্যানেল হয় প্রকাশে। সে বিষয়ে কারো- কোন দ্বিমত ছিলো না। সভাপতি- সেক্রেটারীর প্যানেলের সুযোগ কাজে লাগাতে যায় কয়েকজন। অন্যকে ঠকাতে গিয়ে নিজেরাই ঠকে গেছেন। ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, অতিচালাকির গলায় দড়ি হয়েছে সাবেক সহ-সভাপতি ও এবারের নির্বাচনে যুগ্ন-সম্পাদক প্রার্থী মোস্তাফিজুরের। মনের বাসনা ছিলো সাধারণ সম্পাদকের চাকুরী শেষ হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসবেন তিনি। তাই তো সহ-সভাপতি পদে ভোট না করে যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট করেছেন। নেতারা চালাকি করলেও ভোটাররা তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। ভোটাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করিয়েছেন। সভাপতির চাইতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ৬৩ ভোট কম পাওয়ায় নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যরও সৃষ্টি হয়। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ তৈরী করার জন্য কেউ,কেউ অতিউৎসাহি হয়ে নেতাদের কানও ভারী করে তোলেন। উল্লেখ্য, ১১৮৯ ভোটের মধ্যে ভোট পোল হয়েছে ১১৮৬। যারমধ্যে সভাপতি পদে ফিরোজ আহমেদ সবুজ ৭৬৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী পেয়েছেন ৪০৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুদুর রহমান মাসুদ ৭০২ ভোট পেয়ে নবম বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রিন্স পেয়েছেন ৩৬০ ভোট এবং জয়নাল আবেদীন নফর পেয়েছেন ১০২ ভোট। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে মফিজুল ইসলাম ৬২৩ ভোট এবং রেজাউল করিম ৪৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সম্পাদক পদে হাফিজুল ইসলাম ৫৯৮ ভোট এবং মোস্তাফিজুর রহমান ৫৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সাংগাঠনিক সম্পাদকে ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদে সালাউদ্দিন সনেট, প্রচার সম্পাদক পদে আব্দুল কুদ্দুস, কোষাধক্ষ্য পদে আবু সাঈদ নির্বাচিত হয়েছেন।