পশ্চিমাঞ্চল স্পোর্টস ডেস্ক:তাসকিনের ফেরা আর রুবেলের বোলিং দেখে মুগ্ধ। প্রতিষ্ঠিত, নামি তারকারা সবাই ভাল পারফর্ম করেননি। তারকাদের সবার পারফরমেন্স আহামরি ছিল না। তারপরও শেষ কথা হলো, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠে ফিরেছে। ক্রিকেটাররা ব্যাট ও বল হাতে আবার মাঠে।

এ সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রেসিডেন্টস কাপ শুরুর পরপরই। আজ রোববার রাতে ফাইনাল শেষে সে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো। সেটাই সান্তনা নাজমুল হাসান পাপনের।

আজ রোববার রাতে ফাইনাল শেষে বিসিবি সভাপতির সন্তুষ্টি, ‘আসলে ক্রিকেট মাঠে ফেরানোটাই ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। ভয় ছিল কেউ না আবার করোনায় আক্রান্ত হয় কি না? কারো কোন রকম সমস্যা হয় কি না? সেটা হয়নি।’

প্রেসিডেন্টস কাপে কোন ক্রিকেটারের সমস্যা হয়নি। সবাই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে আর মাঠে এসে খেলেও সুস্থ। এটাই বড় সন্তুষ্টি বোর্ড প্রধানের। সেটা যে শুধুই সন্তুষ্টি, তা মানতে নারাজ পাপন।

তার মনে হয়, এই আসর (প্রেসিডেন্টস কাপ) সফল ভাবে শেষ হবার অর্থ, ‘এখন আমরা দেশের মাটিতে সিরিজ আয়োজন আর বিদেশে খেলতে যাবার কথা চিন্তা করতে পারি। ক্রিকেটাররা জেনে গেছে, তাদের বোঝা হয়েছে করোনায় কিভাবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে মাঠে খেলা যায়।’

ঠিক হতাশ বলা যাবে না। আবার আফসোস- অনুশোচনায় ভোগাও বলা যায় না। তবে বিসিবি বিগ পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। তার ভাষায়, ‘সবচেয়ে খুশি হতাম সবাই পারফরম করলে। তবে সেটা হয়ত হয়নি। তারপরও মুশফিকুর রহীম পারফর্ম করেছে। লিটন দাসও ফাইনালে এসে রান পেল।’

জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠিত পারফরমারদের বড় অংশ তেমন ভাল খেলতে না পারলেও চিন্তিত নন বিসিবি সভাপতি। তার ভাষায় সেটা বড় কোন চিন্তার কারণ নয়। সময় গড়ানোর সাথে সাথে সবাই ফর্মে ফিরে আসবে- এমন বিশ্বাস আছে তার।

তবে নাজমুল হাসান পাপন সবচেয়ে খুশি হয়েছেন তাসকিন আহমেদের পারফরমেন্সে। তার চোখে এ আসর তাসকিনের কামব্যাক টুর্নামেন্ট। রুবেল হোসেনেও মুগ্ধ পাপন। ‘আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে তাসকিনকে দেখে। এ আসর আসলে তাসকিনের আর রুবেলের কামব্যাক সিরিজ। তাসকিন ইনজুরি কাটিয়ে দারুণভাবে ফিরে এসেছে। একই ভাবে রুবেলকে নিয়েও খানিক চিন্তায় ছিলাম, কত দিন খেলবে? কি করবে? কিন্তু না, এ আসরে সেও নিজেকে মেলে ধরেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *