জীবননগর অফিস : জীবননগর উপজেলার কাশীপুর কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাসিমকে মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রের পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বৃহষ্পতিবার ভোরে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক মাজেদ হোসেন ও শাহীন হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার কাশিপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাশীপুর মাঝের পাড়ার আলাউদ্দীনের ছেলে নাসিম দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্র। গত বুধবার দুপুরে কওমি মাদরাসার শিক্ষক মাজেদ হোসেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে বেধড়ক মারপিট করে শ্রেনী কক্ষে আটকে রাখে। দুপুরে জোহরের নামাজের সময় তাকে নামাজ পড়ার জন্য ছেড়ে দিলে সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক শাহীন তাকে পুনরায় ধরে নিয়ে এসে আবারও মারপিট করে শ্রেনী কক্ষে আটকে রাখে। শিশুটির কান্নাকাটি ও চিৎকারে এলাকাবাসী এসে সন্ধ্যায় তাকে শ্রেনী কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই মারপিটের শিকার ছাত্রের বাবা আলাউদ্দীন অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গতকাল বৃহসপতিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক মাজেদ ও শাহীনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাজেদ ও শাহীন বলেন, নাসিম অধিকাংশ সময় মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকতো। মাঝে মধ্যে মাদরাসায় আসলেও ক্লাস না করে পালিয়ে যেতো। ভয় ভিতি দেখানোর জন্য বেত্রাঘাত করা হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাদরাসা ছাত্র নাসিমের মারপিটের ব্যাপারে তার বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *