জীবননগর অফিস :জীবননগরে পরকীয়ার টানে এক স্বামী তার অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান থাকা সত্ত্বেও পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী তার স্বামীর অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী রেহেনা খাতুন জানায়, আমার পিতা বজলুর রহমান ৬ বছর আগে সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর পূর্ব পাড়ার মন্টু মিয়ার ছেলে মকলেচুর রহমান মুকুলের (৩৮) সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই আমাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও আমার শাশুড়ি ও শ্বশুরে কু পরামর্শে ব্যবসার জন্য আমার পিতার কাছে যৌতুকের টাকা চায়। আমার সুখের কথা চিন্তা করে আমার বাবা- মা টাকা পয়সা দেয়। পরবর্তীতে আমার স্বামী মুকুল পরকীয় প্রেমে জড়ি পড়ে আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার জন্য যৌতুক বাবদ আরো এক লক্ষ টাকা দাবী করে। কিন্তু আমি হতদরিদ্র বাবা-মায়ের কথা চিন্তা করে যৌতুকে আনতে রাজী হয়নি। পরে আমার স্বামী মুকুল শ্বশুর মন্টু ও শাশুড়ি খালেদা আমাকে মারপিট করে শিশু সন্তানসহ ১৪ সেপ্টেম্বর বাড়ী থেকে বের করে দেয়। সেই থেকে আমি আমার পিতার বাড়িতেই রয়েছি। এরই মধ্যে আমার স্বামী কিস্তিতে মালামাল বিক্রির ব্যবসা করতে যেয়ে মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগর গ্রামের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে। এখন শুনছি সে তার পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে।
গৃহবধু স্বপ্নার পিতা বজলুর রহমান বলেন, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাই মুকুলের সাথে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। তখন তাদের পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলোনা। মেয়ে- জামাই ভালো থাকার কথা চিন্তা করে তাদেরকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ও সংসারের আসবাবপত্র কিনে দিই। কিন্তু শেষ-মেষ তারা আমার চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা মেয়েকে তালাক দিলো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।