জীবননগর অফিস : জীবননগর উপজেলার পৌর শহরের আশতলাপাড়ায় মাদকাসক্ত ছেলের ভয়ে পিতার ও তার ছোট ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অসহায় পরিবার দুইটির মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে।
জীবননগর পৌর শহরের আশতলাপাড়ার হারুন অর-রশিদ বলেন,আমার ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩৬) শুধু মাদকাসক্তই সে একজন মাদক ব্যবসাীও। মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। তার অত্যাচারে বর্তমানে আমরা অতিষ্ঠ। তার মাদক সেবনের ব্যাপারে কিছু বললে কিংবা টাকা পয়সা দিতে না চাইলে আমাদেরকে অত্যাচার করে,জবাই করতে তেড়ে আসে। ২০ বছর আগে আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি ওই সন্তানের কথা ভেবে আর দ্বিতীয় বিয়ে করিনি। আজ সেই সন্তানের ভয়ে আজ আমি বাড়ী ছাড়া। মাদকাসক্তের কারনে শরিফুলের প্রথম স্ত্রী স্বেচ্ছায় তালাক নিয়ে চলে যায়। সেই স্ত্রীর ছেলে মঞ্জুরুলকে(৯) আমি লালন পালন করে বড় করেছি। শরিফুল মাদক সেবন করে সেই ছেলেকে গত ১৮ অক্টোবর সকালে জবাই করতে যায়। ভয়ে সে ছেলেও পালিয়ে গেছে। আর আমরা ওইদিন থানা পুলিশের সহযোগীতায় মালামাল নিয়ে মহেশপুর উপজেলার ভাসানপোতা গ্রামে আত্মীয় বাড়ীতে মানবেতর জীবনযাপন করছি।শুধু আমি নয়,শরিফুলের ভয়ে আমার নি:সন্তান ছোট ভাই আলী আহম্মদও স্বপরিবারে আমার সাথে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ছেলে শরিফুল আমার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা জোর করে হাতিয়ে নেওয়ার আদালতে মামলা দিয়েছিলাম ওই মামলায় আদালতে তার ৪ বছর জেল দেয়। করোনা পরিস্থিতে উকিলের পরামর্শে তাকে জামিন করিয়ে আনি। কিন্তু এখন বুঝছি জামিন করানো আমাদের কাল হয়ে দাঁগিয়েছে।
আলী আহমেদ বলেন,শরিফুল আমার ভাইয়ের ছেলে সে মাদক নেশা করতে করতে এখন এতটাই বেপরোয়া যে তার ভয়ে আমাদের বিপন্ন। সে কথায় কথায় দা হাসুয়া জবাই করতে ধেয়ে আসে। বাড়ীর মেয়ে-ছেলে তার কাছে নিরাপদ নয়। কথায় কথায় আমাদের জবাই করতে আসে। তার ভয়ে আমরা এখন পুরো পরিবার নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। শরিফুলকে পুলিশ আটক না করা পর্যন্ত আমরা বাড়ী ফিরে যেতে পারছি না।
এলাকাবাসির দাবি শরিফুল বহুদিনের মাদকাসক্ত এবং মাদক দ্রব্যসহ সে ইতিপুর্বে দুটি মামলায় হাজতেও গেছে। এখন সে বেপরোয়া হয়ে বাড়ীর লোকজনকে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছে। সে তার নিজের ছেলেকে জবাই করতে গেছে। তার ভয়ে পরিবারের সব লোকজন পালিয়ে গেছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদকাসক্ত শরিফুলকে আটক করতে পুলিশি তৎপরতা চলছে।