জীবননগরে ভূমিহীন হতদরিদ্র ৩টি পরিবারের বসতবাড়ী উচ্ছেদের অভিযোগ
জীবননগর অফিস:জীবননগর গোপালনগর গ্রামে রাস্তা পাশে সরকারী জমিতে দীর্ঘদিন বসবাসকারী ৩টি পরিবারকে জোরপূর্বক বসতবাড়ী উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনৈক এক হোমিওপ্যাথি ডাক্তার জমির দলিল না দেখিয়ে শুধু মাত্র ম্যাপের নকশার উপর ভিত্তি করে মাপজোগের মাধ্যমে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের ডেকে এনে হতদরিদ্র পরিবারের সরকারী জমিতে বসতবাড়ী দখলে নেয়। গত ৩এপ্রিল দুপুরে উচ্ছেদ হওয়া পরিবার গুলো বিচারের আশায় ঘুরছে পথে পথে।
অভিযোগে জানা যায়, পৌর এলাকার গোপাল নগর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুর রহমান গোপাল মন্ডল, মৃত নবীছ উদ্দীনের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা ছকিনা খাতুন ও গোপাল মন্ডলের ছেলে ভ্যান চালক জিয়াউর রহমান জিয়া সরকারী রাস্তার পাশে খাস জতিতে বসবাস করে আসছিলো। র্দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর যাবত হতদরিদ্র পরিবার গুলো একই জমিতে বাপ-দাদার আমল থেকে বসবাস করে করে আসছে। গত ৩এপ্রিল তাদের বসতভিটার পার্শ্ববর্তি জমির মালিক মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার আবু হেনা মোস্তাফা কামাল স্থানীন আমিনদের নিয়ে তার জমির মাপজোগ শুরু করে। এরই মধ্যে সে সরকারী জমিতে বসবাসকারী পরিবার গুলোর বসতবাড়ী নিজেদের দাবী করে। এসময় বাড়ীতে থাকা গৃহবধুরা আপত্তি করলে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের জামাতা শাহেদের নেতৃত্বে ৩০-৪০জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক জোর পূর্বক বসতঘর ও রান্নাঘর ভাংচুর চালিয়ে তার কাটার বেড়ার মাধ্যমে দখলে নেয়।
উচ্ছেদ হওয়া হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩০-৪০বছর বসবাস করে আসছি। দখলদার হোমিওপ্যাথি ডাক্তার কামালের পিতা আব্দুল কাদের মাষ্টার জীবিত থাকা কালীন বেশ কয়েকবার মাপজোগ করে তাদের সীমানা নির্ধারণ করেছিলো। তিনি সে সময় ওই সরকারী খাস জমিতে বসবাসের অনুমতি দেয়। দীর্ঘদিন পর তারই ছেলে বহিরাগতদের নিয়ে অমাদের বসতবাড়ী দখল করে নেয়। আমরা আমাদের বসতবাড়ী ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার আবু হেনা মোস্তাফা কামাল জানান, তিনি পৌরসভার মাধ্যমে ৩জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে তাদের রেকর্ডের জমি মাপজোগ করে দখলে নেয়। খাস জমি দখলের যে অভিযোগ তা মিথ্যা।