জীবননগর অফিস : জীবননগরে দুদিনের টানা বর্ষণে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পনি নিস্কাশনের সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা না থাকায় জলাবদ্ধতায় এই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি উত্তরনে দায় কার তাও বোঝা যাচ্ছে না। প্রবল বর্ষণে জীবননগরের সর্ব বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জলাবদ্ধতায় পানির নিচে রয়েছে।
জীবননগরে সোমবার দুপুরের পর প্রবল বর্ষণে শহরের রাস্তা-ঘাটসহ পাড়া মহল্লাগুলো দ্রুত পানি নিস্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর এলাকার প্রতিটি অলি-গলিতে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন না হওয়ায় প্রধান প্রধান সড়কগুলোর উপর দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সৃষ্টি হয় জন দূর্ভোগ। পৌর এলাকার সর্ব বৃহৎ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৭শ’ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। মহামারী করোনার প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষ বন্ধ থাকায় এ যাত্রায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার হাত থেকে রেহায় পায়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা খাতুন জানান, গতকালের পানিতে জলাবদ্ধতার বিষয়ে এখনো কাউকে জানানো হয় নি। অতীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কারণে শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয় নি।
দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সালাহ উদ্দীন কবির জানান, জীবননগর সদরে সর্ব বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দিকে কারো কোন নজর নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়ে। পানি নিস্কাশনের জন্য উপজেলা পরিষদ, প্রাথশিক্ষা অধিদপ্তর, কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ কোন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পানি নিস্কাশনের বিষয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমি আশা করি তারা বিষয়টি নজরে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *