জীবননগর অফিস : জীবননগর বাকা ব্রিকফিল্ড বিশ্বাস ব্রিক থেকে কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে স্বামীর হাসুয়ার এলোপাতাড়ি কোপে রক্তাত্ত জখম হয়েছে স্ত্রী বেদানা খাতুন(৪০)। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে থানায় জিডি করেও শেষ রক্ষা পেলনা হতদরিদ্র বেদানা। গতকাল বৃহসপতিবার দুপুরে বাকা-সুটিয়া রাস্তায় ওত পেতে থাকা ক্ষিপ্ত স্বামী আব্দুল খালেক তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তার সাথে থাকা অন্যান্য নারী শ্রমিকরা স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জীবননগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুটিয়া গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল খালেকের সাথে একই উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের রুস্তম আলীর মেয়ে বেদানা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসারে অভাব অনাটন থাকলেও তাদের দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ নেমে আসে অন্ধকার। স্থানীয় একটি রাইসমিলে কাজ করার সুবাদে স্বামী খালেকের দৃষ্টি পড়ে অন্যের স্ত্রীর উপর। নিজের স্ত্রী সন্তানের কথা ভূলে যেয়ে একই গ্রামের চার সন্তানের জননীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে ১৪ বছর আগে মহেশপুর রাখাল ভোগা গ্রামে বসবাস শুরু করে। স্বামীর অনাদরে ২ সন্তান নিয়ে বেদানা খাতুন পরের বাড়ীতে আবার কখনও ইট ভাটাতে কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছে। এরই মধ্যে তার স্বামী খালেক সুটিয়া গ্রামে মাঝে মধ্যে এসে বেদানার সাথে খারাপ আচারন করতে থাকে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে স্বামীকে আইন অনুযায়ী তালাকের চিঠি পাঠায়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি ধামকি দিলে বেদানা গত বুধবার জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে বেদানা খাতুন বিশ্বাস ব্রিক্সের ভাটা থেকে ৩-৪ জন নারী শ্রমিকের সাথে বাড়ী যাওয়ার পথে রাস্তায় পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা স্বামী আব্দুল খালেক তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *