আহসান আলম: সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সংক্রমণ যেমন বাড়ছে মৃত্যুর পাল্লাও ভারি হচ্ছে দিনদিন। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসছে তাদের সহযোগীতায়। তেমনই এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শরীফ ট্রেডিং এনার্জি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বিপুল শরীফ। করোনার এই মহামারীর শুরু থেকে বিপুল শরীফের নিজ অর্থায়নে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের দেয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা ও নগদ আর্থিক সহযোগীতা। করোনার এই মহারারীতে গত ঈদ উল ফিতরের সময় বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেছেন বিপুল শরীফ। ঈদের যাবতীয় কেনাকাটা করে সেই উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন। মানব সেবায় তিনি বদ্ধ পরিকর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিপুল শরীফের উদ্যোগে বিতরণ করা হলো মাক্স ও সাবান। আজ মঙ্গলবার বিপুল শরীফের অর্থায়নে বিতরণ করা হলো ৬ হাজারের বেশি মাক্স এবং দুই হাজারে বেশি সাবান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরামের নিকট ৫ হাজার পিচ মাক্স ও দুই শতাধীক সাবান হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক রুবাইত বিন আজাদ সুস্থির, চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সোহেল রানা,চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ এর সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ আরও অনেকে।


এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে বিপুল শরীফের নিজ অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে পথচারিদের মাঝে এক হাজার মাক্স ও পাঁচ শতাধীক সাবান বিতরণ করা হয়।
এ সময় শরীফ ট্রেডিং এনার্জি লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিপুল শরীফ বলেন, আমি ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় বসবাস করলেও চুয়াডাঙ্গা আমার জন্মভূমি। এ জেলার মানুষকে সেবা করা আমার নৈতিক দ্বায়িত্ব। চুয়াডাঙ্গার মানুষের জন্য আমি আমার সবটুকু উজার করে দিতে চাই। করোনার এই মহামারীতে চুয়াডাঙ্গাবাসী সবসময় আমাকে পাশে পাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *