ষ্টাফ রিপোর্টার : ইতিপূর্বে বাজারে প্রচলিত বহুল আলোচিত-সমালোচিত ড্রাগ ট্যাপেন্টাডল বা ট্যাপেন্টা জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ দেদারছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা হত বা এখনো হচ্ছে। গত ৯ ই জুন ২০২০ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওষুধটি ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ বিধির অধীনে নিষিদ্ধ করে একই আইনের “খ”শ্রেণীর মাদকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ড্রাগ টি তরুণ বা যুবকদের কেউ ইয়াবার মত কেউ বা কফ সিরাপ এর সাথে মিশিয়ে ফেনসিডিল এর মত নেশা করে আসছে। এটা কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। ওষুধটি এখন নিষিদ্ধ ড্রাগ এর অন্তর্ভুক্ত হাওয়ায় এর ধারবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার’র দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান’র নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ী পুলিশের টিএসআই ওহিদুল ইসলামসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচলনাকালে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে গোপনে দোকানে রেখে দেদারছে প্রেসক্রিপশন ব্যতীত তরুণ যুবকদের মাঝে বিক্রয়ের চেষ্টাকালে, রেলবাজার সুরুজ ফার্মেসীতে থেকে ট্যাপেন্টাডল বা টাপেন্টা নেশা দ্রুব্য ঔধুষসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বড় মসজিদপাড়ার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৫০), সাতগাড়ী গ্রামের রবিউল হাকের ছেলে আকাশ (২৫), জাফরপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে স্বপন (১৮) মোমিনপুর ইউনিয়নের আজিবার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) ও একই ইউনিয়নের লালুর ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০) মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে ৭১ পিচ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেনটাডল ট্যাবলেট এবং ৪২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে এবং চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আসামী মনির’এর বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা রুজু হচ্ছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *