চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারন সভা ও সদস্যদের পরিবার পরিজনসহ দাতা সদস্যদের উপস্থিতিতে মিলন মেলা
*প্রবীণ সাংবাদিক মাহতাব উদ্দীন বিশেষ সম্মানে ভূষিত : ক্লাবের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার: উৎসব মুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের সকল সদস্যের পেশাগত দায়িত্বপালনের পথ মশৃণকরার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের বার্ষিক আয় ব্যায়ের হিসেবসহ সাধারণ সম্পাদকের পেশকৃত প্রতিবেদনও সর্বসম্মতক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভার পর দুপুরে হোটেল সাহিদ পেলেসের রাফেল কনভেনশন রুমে সদস্যরা তাদের মাতা পিতা স্ত্রী সন্তানসহ দাতাসদস্যদের সাথে মধ্যন্যভোজে মিলিত হন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে দিন ব্যাপী রকমারি আয়োজনের মধ্যে ক্লাবের প্রবীণ সদস্য সাংবাদিকদের অভিভাবকতুল্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহতাব উদ্দীনকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিনের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার শুরুতে কোআন থেকে তেলওয়াত করা হয়। প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় গত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন দফতর সম্পাদক আবুল হাসেম। সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করার পর সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পেশকৃত প্রতিবেদন সর্বসম্মতক্রমে অনুমোদনের পর বার্ষিক আয় ব্যায়ের হিসেব উপস্থাপন করেন অর্থ সম্পাদক আতিয়ার রহমান। কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন ক্লাব সদস্য বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট সেক্রেটারি বিপুল আশরাফ। প্রয়াতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রবীন সদস্য প্রেসক্লব ও সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহতাব উদ্দীন। গঠনতন্ত্র সংশোধন ও সংযোজন উপ কমিটি কতর্ৃক পেশকৃত খসড়া প্রস্তবনা কার্যকরি কমিটি কতর্ৃক অনুমোদিত অংশ সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হয়। বিষদে আলোচনা শেষে বেশ কিছু সংশোধনী ও সংযোজন আনা হয়। এর মধ্যে ক্লাবের সদস্যদের আইনগত সহায়তা প্রদানের বিষয়টিও রয়েছে। সভায় বিবিধ আলোচনায় উঠে আসে চলতি বছরে দুটি আনন্দভ্রমণ প্রশঙ্গ। গাজিপুরস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক ও নুহাস পল্লী পরিদর্শনসহ বার্ষিক বনভোজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ক্লাব নেতৃবৃন্দসহ দায়িত্বপালনকারী সকলকে প্রসংশা করেন উপস্থিত সকলে। জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করাও ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন সাধারণ সদস্যগন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষে দাতা সদস্যসহ সকল সদস্যের সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে সভাপতি সরদার আল আমিন বার্ষিক সভার সমাপনি ঘোষণা করেন। এর পরই মিলন মেলা ও আপ্যায়ন উপ কমিটির আহ্বায়ক ক্লাবের কার্যকরি সদস্য রফিকুল ইসলামসহ ক্লাবের সদস্যরা আপ্যায়নে মেতে ওঠেন। মধ্যান্যভোজ শেষে ক্লাব সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের হাতে বিশেষ উপহার তুলে দেয়া হয়। একই সাথে ক্লাবের সকল সদস্যকেও দেয়া হয় হ্যাণ্ড সেনিটাইজার ও এক বক্স করে মাস্ক। প্রবীণ সদস্যকে বিশেষ সম্মানে ভুষিত ও সদস্যদের মাঝে উপহার প্রদান অনুষ্ঠানটি ক্লাবের সহ সাধারন সম্পাদক ইসলাম রকিব উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন সরদার আল আমিন, সার্বিক দায়িত্বপালন করেন সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি। সহযোগিতায় ছিলেন সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ। সাধারণ সভাসহ অনুষ্ঠান মালায় সদস্যদের মধ্যে শেখ সেলিম, কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, মিজানুল হক মিজান, মাহফুজ উদ্দীন খান, ফাইজার চৌধুরী, রফিক রহমান, আহাদ আলী মোল্লা, আনজাম খালেক, আলমগীর কবীর শিপলু, খাইরুজ্জামান সেতু, শামীম রেজা, রেজাউল করিম লিটন, অ্যাড. ফজলে রাব্বী সাগর, কামরুজ্জামান চাঁদ, উজ্জল মাসুদ, রিফাত রহমান, আব্দুস সালাম, নাজমুল হক স্বপন, সঞ্জিত কর্মকার, মফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার, হুসাইন মালিক, জহির রায়হান সোহাগ, সহেল সজিব, পলাশ উদ্দীন, খায়রুল ইসলাম, মাহফুজ মামুন, জামান আখতার, মশিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দাতা সদস্যদের মধ্যে ওয়ায়েচ কুরুনী টিটো, মনিরুল ইসলাম, কিশোর কুমার কুণ্ডু, এমরাজ উদ্দীন খোকনসহ অনেকেই উপস্থিত হয়ে আয়োজনকে পূর্ণতা এনে দেন।
আয়োজনে বিশেষ সম্মানে ভুষিত হওয়ায় প্রবীণ সাংবাদিক মাহতাব উদ্দীন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব আমাকে যে সম্মাননা দিলো তা পেয়ে আমি গর্বিত। মৃত্যুর আগপর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিক সমিতির সাথে আছি এবং থাকবো। ক্লাবের গতিশীল কার্যকমে আমি ও আমরা মুগদ্ধ। ক্লাব সদস্যদের মধ্যে যারা তাদের পিতা মাতা ও স্ত্রীসহ সন্তানদের সাথে নিয়ে মিলন মেলায় অংশ নেন তাদের হাতে উপহার তুলে দেয়ার সময়ও উপস্থিত সদস্যরা ক্লাবের এ আয়োজনকে ভূয়োশি প্রশংসা করেন। ক্লাবের সাধারণ সভায় সকল সদস্য সফেদ গেঞ্জিতে সকলে সজ্জিত হয়ে আয়োজনের শোভা বর্ধনে অবদান রাখেন।