
চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার পথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের সন্নিকটে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে——রাজেউন)।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের ফেরীঘাট রাস্তার বাসিন্দা বড় বাজার মসজিদ (নিউ মার্কেট সংলগ্ন) কমিটির সভাপতি মৃত্যুকালে মরহুম হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন মিয়ার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
জানা যায়, অনেকটা হঠাৎ করেই গত ৩ দিন যাবত চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি লেমন জোয়ার্দ্দার ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার সময় তিনি তার পুত্র সুশীক জোয়ার্দ্দারকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে উপস্থিত হন। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালের আইসিইউ সাপোর্টে নেওয়ার সুপরামর্শ দেন।
শোনা যায়, তিনি শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত কষ্ট এবং অক্সিজেন স্বল্পতা রোগে ভূগছিলেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধার পর শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট বৃদ্ধি এবং অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। এ অবস্থায়, চিকিৎসকবৃন্দের সুপরামর্শে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ঢাকার আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে গত রাত সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
এদিকে, চলন্ত পথে গত রাত প্রায় ১২টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের কাছাকাছি স্থানে ঢাকাগামী অ্যামুলেন্সের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার ব্যবসায়ীদের অত্যন্ত প্রিয় মুখ ব্যবসায়ী নেতা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন মিয়া।
মৃত্যুকালে হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন মিয়া স্ত্রী, ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান, ২ ভাই, ২ বোন ও নাতি-পুতিনসহ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-শুভাকাঙ্খী ও অসংখ্য ব্যবসায়ী সদস্য- নেতৃবৃন্দ রেখে গেছেন।
সুত্রমতে, আজ শুক্রবার ভোররাতে মরহুমের লাশ চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে জানাজা ও দাফন সকাল ১০টাই চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদ্রাসা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাপফ কার্য সম্পন্ন করা হবে।