স্টাফ রিপোর্টার: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার মানুষ চাইতে জানে না। আপনাদের চাওয়া খুব কম। তারপরও আপনাদের প্রত্যেকটি দাবিই বাস্তবায়ন করা হবে। সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অডিটোরিয়ামের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। আগেরবার এখানে এসে দেখি চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির জন্য তো জমিই নেই। যাই হোক চুয়াডাঙ্গাতে শিল্পকলার ভবন নির্মাণের জন্য নতুন জায়গা পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক সাহেব অনেক কষ্টে শহরের উপরে জমির ব্যবস্থা করেছেন। প্রস্তাব পাঠালে, সেটি অনুমোদিত হয়ে অতিদ্রুতই সেখানে নতুন শিল্পকলা নির্মাণ করা হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে সাংবাদিক, সুধিবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কৃষ্টিয়া হচ্ছে সাংস্কৃতিক চর্চার রাজধানী। এক সময় সেই বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মধ্যে ছিলো চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গাতেও সাংস্কৃতিক চর্চা হয়। এই চর্চাকে আরো গতিশীল করতে হবে। জঙ্গিবাদকে রুখতে হলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়ীত আটচালা ঘর আছে। সেখানে নজরুল একাডেমি নির্মাণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা পরিচিতি পাক, জাতীয় কবির সস্মরণীয় স্থান হিসেবে। ভাস্র্কয্যের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আমি ৫ লাখ টাকা অনুদানের কথা ইতিমধ্যেই বলেছি।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি আরো বলেন, আপনারা একটি তিনদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব করেন। রবিন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত, যাত্রাপালা সব থাকবে এ উৎসবে। বিশেষ বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান করতে হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আপনাদের পাশে থাকবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনের যারা আছেন, অস্বচ্ছ দের আগেও মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে সহযোীতা দেওয়া হয়েছে। আমি ডিসি সাহেবকে বলেছি, আরো ৫০জনের নাম পাঠাতে। অতিদ্রুতই তাদেরকেও সহযোগীতা করা হবে। আমি চুয়াডাঙ্গাতে আবারো আসবো।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ ইয়া খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
অরিন্দম সাংস্কৃতি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, বেতার শিল্পী তুহিনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁদের কথা তুলে ধরেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অরিন্দম, আলমডাঙ্গা কলা কেন্দ্র, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *