ষ্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে চার প্রতিষ্ঠান মালিককে জরিমানা করাসহ বিপুল পুরমাণ নকল ও মানহীন কসমেটিকস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজার এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হয়। এ সময় রেল বাজার এলাকার ৪টি দোকানের বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস জব্দ করে ধ্বংস করাসহ অর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গার রেলবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হয়। এ সময় নকল, মানহীন ও মেয়াদত্তীর্ণ মূল্য বিহীন পণ্য বিক্রির অপরাধে রেলাবাজারের মেসার্স বন্ধন ষ্টোরের মালিক নিয়ামত আলীকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪১ ধারায় ১০ হাজার টাকা, মেসার্স সিবা ষ্টোরের মালিক শ্রী অশোক কুমার মন্ডলকে ৪১ ধারায় ৫ হাজার টাকা, মেসার্স বর্ণনা ষ্টোরের মালিক শ্রী বিদ্যুৎ কুমারকে ৩৭ ও ৪১ ধারায় ৬ হাজার টাকা এবং মেসার্স লতা ষ্টোরের মালিক প্রকাশ কুমার মদনকে ৩৭ ও ৪১ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ৪টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে সময় জব্দকৃত নকল কসমেটিকস ও নিম্ন মানের মালামাল উপস্থিত জনসাধারণের সামনে ধ্বংস করা হয়।
সে সময় সজল আহমেদ উপস্থিত জনসাধারণকে বলেন, দোকানদাররা নিজেরাও জানেন যে এগুলো নকল ও মানহীন পণ্য। তারপরও তারা ক্রেতাদের সাথে এভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। এসব পণ্য বেশীরভাগই ফেরিওয়ালাদের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এসব পণ্য বিক্রি অপরাধ জেনেও তারা দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছে। তিনি আরও বলেন, যারা এসব পণ্য বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সে সময় ভ্রাম্যমাণ অভিযানকে সহযোগীতা করেন জেলা পুলিশের একটি টিম।