চুয়াডাঙ্গায় চুক্তিবদ্ধ চাষীদের দাবী পুরণ না হওয়াই ধানবীজ সরবরাহ বন্ধ করে দিল চাষীরা

স্টাফ রিপোর্টার: সংগ্রহ মূল্য না বাড়ানোয় চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনকে (বিএডিসি) ধানের বীজ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন চুক্তিবদ্ধ চাষীরা। এতে বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র ও বীজ ভবনসহ চারটি প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। চাষীরা বলছেন, বীজের দাম কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে বীজ বাইরে বিক্রি করা হবে। আমন ধানের বীজ সংগ্রহের মূল্য বিএডিসি থেকে ন্যূনতম ৪৫ টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলার দৌলতদিয়াড়ের বিএডিসি খাদ্য গুদামের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন চুক্তিবদ্ধ চাষীরা।

সেখানে চাষীদের নেতারা বলেন, করোনাকালে সরকার সাধারণ কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে। কিন্তু বিএডিসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় তারা কিছু পাননি। এখন বাজার মূল্যের তুলনায় বিএডিসির ধান বীজের সংগ্রহ মূল্য নিতান্তই কম। এতে তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। তারা আরও অভিযোগ করেন, বীজ বিএডিসির কেন্দ্রে দেয়ার চার থেকে পাঁচ মাস পর মূল্য পরিশোধ করা হয়। সব মিলিয়ে তারা ক্ষুব্ধ। করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় তারা ধান বীজের সংগ্রহ মূল্য ন্যূনতম কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান তারা।

ওইদিন আন্দোলন শেষে বিএডিসির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দেন কৃষকরা। অনুলিপি দেয়া হয় কৃষিমন্ত্রী, সচিব, বিএডিসির সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ), চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।

সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ধান বীজ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে চাষীরা। বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষী সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক লোটাস জানান, এক কেজি ধান থেকে সকল প্রক্রিয়া শেষে ৭শ গ্রাম বীজ পাওয়া যায়। এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতি কেজি বীজ উৎপাদন করতেই ৪৫ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই ৪৫ টাকার নিচে মূল্য নির্ধারণ করলে বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজনে বীজ বাইরে বিক্রি করা হবে।

প্রধান সরবরাহকারী কৃষক এনামুল হক লোটাস বলেন, আশ্বাসে আর কাজ হবে না। এবার ৪৫ টাকাই দিতে হবে বীজের দাম। তা না হলে বাইরে বীজ বিক্রি করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক সেলিম হায়দার জানান, চুক্তিবদ্ধ চাষীরা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানোর পর তা বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। এও বলা হয়েছে, চাষীদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ প্রক্রিয়া দেরি হলে বীজের মান ধরে রাখা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *