স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কল্পনা খাতুন (২৬) নামের এক নারী একই সাথে ৪ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে শহরের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কল্পনা খাতুনের কোলজুড়ে আসে ৪ কন্যা সন্তান। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আকলিমা খাতুন অস্ত্রপচারের মাধ্যমে চার কন্যাসন্তান জন্ম দেন। কল্পনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের দক্ষিনপাড়ার রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী। তাদের নাঈম নামে দশ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে, কোলজুড়ে আসা চার কন্যা সন্তানে জন্য যেমন খুশিতে আত্মহারা বাবা, ঠিক তেমনই পড়েছে কপালে চিন্তার ভাজ। এমনকি ক্লিনিকের বিল মেটাতে সাম্যর্থ নেই বলে জানান চার কন্যা সন্তানের জনক দিনমজুর মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমি রাজমিস্ত্রীর জোগালে (লেবার) কাজ করি। দিনপ্রতি ৪০০ টাকা  চার সন্তানের মুখ দেখে আমি সব ভুলে গেছি। অস্ত্রপচারের আগে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটা করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ক্লিনিক বিল বাবদ ২০ হাজার টাকা সেটাও কিভাবে দেব চিন্তায় পড়েছি। এই মুহুর্তে আমার স্ত্রী অপারেশন থিয়েটারে আছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তের জোগাড় করতে এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে সত্ত্বাধিকারী ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে এক নারী চার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। চারজনই সুস্থ আছে। প্রসূতির রক্তরক্ষন হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার কন্যা সন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে জমজ বাচ্চা দেখেছি। একসঙ্গে তিনটা বাচ্চা জন্মগ্রহন খুব কম হয়। তবে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *