ষ্টাফ রিপোর্টার : করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই ব্র্যাকের কিস্তি আদায়ের কার্যক্রম। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভিন্ন কৌশলে কিস্তির টাকা আদায় করছেন ব্র্যাকের চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিটের কর্মকর্তারা এমনই অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদরের ভালাইপুর মোড়ের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান শাহ এগ্রোর প্রোপাইটর সুমন। তিনি বলেন, আমার ব্যবসার কাজের জন্য গত বছর ব্র্যাকের আলুকদিয়া শাখা অফিস থেকে ৪ লাখ টাকা লোন নিয়ে ব্যবসা করছিলাম এবং প্রতিমাসে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলাম। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এপ্রিল মাস থেকে আমি কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু ব্র্যাকের আলুকদিয়া শাখা অফিসের কর্মকর্তারা কিস্তি পরিশোধের জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে, এবং সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আমার প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে আমাকে মানষিক চাপ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সামনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে।
আমার ব্যবসার সুনাম নষ্ঠ করতে থাকে। আমি তাদেরকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায়ে নিষেধের বিষয়ে সরকারী সিন্ধান্তের কথা বললে তারা আমার কাছে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বলেন, আপনি যদি বকেয়া কিস্তি পরিশোধ করে দেন তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে পূনরায় লোন দেয়া হবে এবং আপনার ব্যবসা পুরোদ্যমে চালু করতে পারবেন। আমি তাদের কথামত আত্নীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সমুদয় বকেয়া পরিশোধ করি। ব্র্যাকের লোকজনরাও আমাকে লোন দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিড ডকুমেন্ট করে নেয় এবং লোন দেবে বলে দু’জন গ্যারান্টারের স্বাক্ষরও নিয়ে নেয়। চলতি মাসের ৭ জুলাই নতুন করে লোন দেয়ার তারিখ দিলেও তারা আমাকে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অযুহাতে ঘোরাতে থাকে।
এখন আমার মনে হচ্ছে জোর পূর্বক কিস্তি আদায়ে সরকারী নিষেধ থাকায় ব্র্যাকের কর্মকর্তাগণ কৌশল অবলম্বন করে পূনরায় লোন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিরবে কিস্তি আদায় করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের আলুকদিয়া অফিসের সিও নুরুজ্জামান বলেন, আমরা কোন গ্রাহকের কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছি না। অভিযোগকারী স্বেচ্ছায় তার বকেয়া কিস্তি অফিসে এসে পরিশোধ করেছে।
এদিকে শাহ এগ্রোর সুমনের দাবী তার কাছ থেকে প্রতারণা করে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। সে লোনের টাকা পাবার আশায় যাদের কাছে টাকা ধার করে একবারে ৪ মাসের কিস্তি পরিশোধ করেছে আবার তাদের টাকা পরিষদের জন্য নিজের জমি বিক্রি করতে হয়েছে। ব্র্যাকের কর্মকর্তারা যে তার সাথে প্রতারণা করেছে প্রশাসনের কাছে তা তদন্তপূর্বক বিচারের দাবী জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *