স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সাংস্কৃতিককর্মীদের সাথে মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবন মিলনায়তনে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হেলা। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন (পিপি এবং সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হামিদুল হক মুন্সীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে লিটু বিশ্বাস, আব্দুস সালাম সৈকত, নজির আহম্মেদ, জহির রায়হান, জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, বসির আহম্মেদ হিটু, কাজল মাহমুদ, সাহেদুজ্জামান খোকন, আনছার আলী, মনোয়ারা খুশি ও লায়লা শিরিণ বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভা উপস্থাপনায় ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম শাহান ।
মতবিনিময়সভায় সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, শহর বাউল একাডেমী, চুয়াডাঙ্গা আবৃত্তি পর্ষদ, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠণ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, সঙ্গীত শিল্পী কল্যাণ পরিষদ, প্রগতি লেখক সংঘ, সরগম সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠী এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিককর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়সভায় সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, টোটন জোয়ার্দ্দারের সময় পৌরসভায় গেলে কোন সময় আমরা খালি হাতে ফিরিনি। অথচ, বিগত পাঁচ বছরে সাংস্কৃতিক অঙ্গণ অবহেলিত হয়েছে। মনে হয়েছে আমরা অভিভাবক শূণ্য।
মতবিনিময় সভায় মেয়র প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, সাংস্কৃতিককর্মীরা যখন যেভাবে আমার কাছে এসেছে কেউ খালি হাতে ফেরেনি। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর এবং দাঁড়িয়েছি। ১৯৭১ সালে সাংস্কৃতিককর্মীরা যেভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিলেন, তেমনিভাবেই আসছে নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। আমি আমার পরিষদকে কোন সময়ই দলীয় পরিষদ মনে করিনি। আমি মনে করতাম এটা আমার পরিবার। ওই সময় কাউন্সিলর রেজাউল হক রেজা মৃত্যু করলে তার পরিবারকে আমি ১ লাখ টাকা দিয়ে এবং তার ছেলের পড়াশুনার জন্য আমার সম্মানীর টাকা থেকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে দিয়েছি। তার লেখাপড়া শেষ করেছি। অথচ, তিনি বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া, কাউন্সিলর নাজমুস সালেহিন লিটনকে চিকিৎসার জন্য অনেক বার ভারতে পাঠিয়েছিলাম। তার মৃত্যুর পর তার বাড়ি দেখা করতে গেলে একজন মুরুব্বী বলেন, টোটন আপনি মেয়র থাকলে লিটন এত তাড়াতাড়ি মরতো না। তিনিও বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর ছিলেন। আমার থেকে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন কোন প্রার্থী থাকলে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে তাকে মেয়র বানানোর চেষ্টা করবো। আমাকে যোগ্য মনে করলে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভোট দিলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে মনোরম ও সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।