স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার শহরতলীর দৌলতদিয়াড়ের রুবিনা খাতুন দীর্ঘ নয় মাস পর তার সুখের সংসারে ফিরে গেল। সেই সাথে বাবা-মাকে একত্রে পেল শিশুপুত্র। চুয়াডাঙ্গার মানবিক পুলশ সুপার জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে এমন অসাধ্য সাধন হলো।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় কোরিয়াপাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে রুবিনা খাতুনের সাথে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়ার গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল মোমিনের সাথে ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ঘর আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার বয়স ৩ বছর। সংসারের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে গত ১ বছর আগে তাদের সনোমালিন্যর সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে গত ৯ মাস আগে আব্দুল মোমিন তার স্ত্রী রুবিনা খাতুনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।এমতাবস্থায় রুবিনা খাতুন তার ৩ বছরের সন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত এবং নিজে উদ্বোধনকৃত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে” কর্মরত নারী এএসআই মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় তাদের মধ্যে চলমান ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়। এসময় আব্দুল মোমিন তার স্ত্রী রুবিনা খাতুন ও সন্তান’কে নিয়ে পূর্বের ন্যায় সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে রুবিনা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার এবং তাদের শিশু সন্তান ফিরে পেল বাবা ও মায়ের আদর স্নেহ।