দর্শনা অফিস/হিজলগাড়ী প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা সদর নেহালপুরের জমি-জমা সংক্রান্ত নিয়ে ভাই-ভাই বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ বিরোধকেকেন্দ্র করে র“প নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এতে একে অপরের আঘাতে নারী সহ আহত হয় একই পরিবারের ৪ জন।আহতরা সকলে ভর্তি হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। আহত হওয়ার ৬ দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় বড় ভাই কওছার ওররফে কাছেরের মৃত্যুহয়।এ ঘটনায় আকাশ নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের ডিহি গ্রামের মানিকতলা (জুঙলী) পাড়ার আব্দুর রহমানের তিন ছেলের মধ্যে বসতবাড়ীর জমির ভাগাভাগির রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে গত সোমবারজমি মাফজোপের মাধ্যমে ভাগাভাগি করতে আমিন এনে জমির সীমানা নির্ধারন করা হয়।জমির সীমানা নির্ধারন হলেও রাস্তা নিয়ে ভাই-ভাইয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আব্দুর রহমানের বড় ছেলে কাওসার, মেজ ছেলে নাছের ও তার স্ত্রী হাসনা বানু এবং ছোট ছেলে তাছের আহত হয়। স্থানীয়রা আহদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ৬দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাওছার মার যায় বলে পরিবার সুত্রে জানায়। মারা যাওয়ার পর কাওছারের বড় ছেলে র“বেল বাদী হয়ে দর্শনা থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তাপস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আকাশকে (২২) আটক করে। আটককৃত আসামীকে দর্শনা থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। গতকাল বিকালেই কাওছারের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামে এনে রাত ৯টার দিকে গ্রাম্য কবরস্থানে বেদনা-বিধূর পরিবেশের মধ্যদিয়ে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। এঘটনায় বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, এ ঘটনায় মামলার এজাহার ভুক্ত আকাশ নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *