মেহেদী হাসান মিলন:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা গতকাল শক্রুবার সকালে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী পালকি নিয়ে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসেন। আর এ বিয়ে দেখতে এলাকার শত শত নারী পুরুষ ভীড় করেন। উপজেলার আরামডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছোট ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা বিশ্বাসের সাথে একই গ্রামের মোঃ শাহিন মন্ডলের মেয়ে শারমিন আক্তার শান্তর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল গতকাল শক্রুবার। পালকি চড়ে বউ আনার কথা শুনে আগে ভাগেই গ্রামের উৎসক নারী – পুরুষ এদিন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো দেখার জন্য এবং মোবাইলে বন্দি করে অভিনব বিবাহ অভিযান। এমন আয়োজনের কথা জানিয়ে রানার বন্ধুরা বলেন বর-কনের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় স্বল্প দূরত্ব পাড়ি দিতে পালকিতে বরযাত্রার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। তবে গোটা এলাকায় পালকিতে করে বিয়ে দীর্ঘ বছর দেখা যায়নি। তাই অলি গলি, চায়ের দোকান, বাড়ি বাড়ি, রাস্তা ঘাটে পালকিতে করে বিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিলো। রানার বড় ভাই পিতৃতুল্য ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, চাচা-মামাদের পাশাপাশি বন্ধু এবং রাজনৈতিক ছোট-বড় ভাইদের এই সহোযোগিতায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া এই পালকি বিয়ের অসামান্য এই অবদানের কথা দীর্ঘদিন মনে রাখবে এই অঞ্চলের মানুষ।