ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার পাঁচ কোমলাপুর গ্রামের গরুর ব্যাপারি জসিম উদ্দীন কিছু সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ইঠাৎ গরুন কশায় বনে গিয়ে গরু পালন কারিদের কাছ থেকে বাঁকিতে গরুকিনে অর্ধকোটি টাকা হতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা। হতদরিদ্র গরু পালনকারি মাথায় হাত।
জানাগেছে আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচ কোমলাপুর গ্রামের হাবিবার রহমানের ছেলে জসিম উদ্দীন, একই গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে হামিদ আলী, চিৎলা ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের হুচুকপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে আশাবুল হককে সাথে নিয়ে, ভালাইপুর মোড় ও গোকুলখালী বাজারে, এলাকার হত দরিদ্র গরু পালনকারিদের কাছ থেকে বাঁকিতে গরু কিনে জবেহ করে বিক্রি করতো। গত ২-৩ মাসের ব্যবধানে মিষ্টি কথা বলে, একদিন পর বা দুই দিন পর টাকা দিচ্ছি বলে, প্রায় ৪০-৪৫টি গরু পালনকারিদের কাছ বাঁকিতে অর্ধকোটি টাকা গরু কিনে, কাউকেই টাকা না দিয়ে মুলহোতা জসিম উদ্দীন এলাকা ছেড়ে লাপাত্তা। গরুপালনকারী আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের আইন্দিপুর গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলের মিনারুলের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা দামের একটি গরু, একই গ্রামের হানেফ ফরাজির ছেলে ছোয়াদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা দামের ২টি গরু, হানেফ ফরাজির জামায় হারুনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের ১টি গরু, ভালাইপুর গ্রামের মৃত্যু এলাহী বকসে্র ছেলে মহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৫৬ হাজার টাকা দামের ১টি গরু, রুইতনপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে আতিয়ারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা দামের ১টি গরু, চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের হুচুকপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সবুজ আলীর ৭০ হাজার টাকা দামের ১টি গরু, একই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মাহাবুল ইসলামের ৯০ হাজার টাকা দামের ১টি গরু, জলিল হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিতের ৬০ হাজার টাকা দামের ১টি গরু, আপেল হোসেনের ছেলে ঠান্ডু হোসেনের ৮০ হাজার টাকা দামের ১টি গরু ও মুনছুর আলীর ছেলে মহিবুল হোসেনের ৭০ হাজার টাকা দামের গরু সবার কাছ থেকে ঐ দামে গরু কিনে ভালাইপুর মোড় ও গোকুলখালী বাজারে বিক্রি করতো আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচ কোমলাপুর গ্রামের হাবিবার রহমানের ছেলে মুলহোতা জসিম উদ্দীন। সহযোগি হিসাবে ছিলেন পাঁচ কোমলাপুর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে হামিদ আলী, চিৎলা ইউনিয়নের চিৎলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের হুচুকপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে আশাবুল হক। হতদরিদ্র গরুপালনকারিরা অভিযোগ করে বলেন প্রতারক জসিম উদ্দীন তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে নিয়ে মিষ্টি কথা বলে মধু ভুলিয়ে দামদর করে ৫-৭ হাজার টাকা বায়না করে, বিকালে বা একদিন পর সবটাকা দেবো বলে গরু নিয়ে যেয়ে ভালাইপুর মোড় ও গোকুলখালী বাজারে কিছু গরু জবেহ করে বিক্রি করেছে আবার গরুর হাটেও কিছু গরু বিক্রি করেছে, গরু বিক্রেতারা টাকা চাইতে গেলে দু-একদিনের মধ্যে চিচ্ছি বলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করতে শুরু করেছে আবার কারর কাছে থেকে এক মাসের সময় নিয়েছে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া জসিম উদ্দিনের সহযোগিরা এর মধ্যে দু-একজনকে ৫-৭ হাজার টাকা দিয়ে সান্তনা দিয়ে রেখেছে প্রতারক দল। বিষয়টি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হত দরিদ্র গরু বিক্রেতারা।