বিশেষ প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা মূল্যায়নে কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সমন্বয়ে আট সদস্যের এ কমিটির সদস্যরা অটোপাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেডিং পদ্ধতি নির্ধারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান বলেন, ‘কীভাবে কোন কৌশলে ফল চূড়ান্ত করা হবে তা নিয়ে চলতি সপ্তাহে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা হবে। আমরা আশা করি, চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসতে পারব। তবে এখনো বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে বসলে একটা পথ বের হবে। এ বিষয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। সরকার অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে কাজ করছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের আগের দুই পাবলিক পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন করে গ্রেড নির্ণয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে এ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ কমিটির পরামর্শের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না, সেহেতু একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নের ফাইনাল ধাপ হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি। এক্ষেত্রেও পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের এ কমিটিতে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের প্রতিনিধি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সদস্য হিসেবে থাকবেন। তাদের পরামর্শে বিভাগ পরিবর্তনকারীদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিভাগ পরিবর্তনজনিত (যারা বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা অন্য বিভাগ পরিবর্তন করেছেন) কারণে যে সমস্যাটি হতে পারে তা ঠিক করতেও বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করবে। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি নভেম্বর মাসেই তাদের পরামর্শ বা মতামত দেবে। এরপর ডিসেম্বরে এই মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবার উচ্চমাধ্যমিক তথা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করেই এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ৭ অক্টোবর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।