গাংনী অফিস : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন করেছেন এক কলেজ পড়ুয়া এক প্রেমিকা (১৮)। প্রেমিকা বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে প্রেমিক মাহিন বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গাংনী থানায় উভয় পক্ষ বসে মাত্র ৭৫ হাজার টাকায় ঘটনাটি দফারফা করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ধর্মচাকী গ্রামের প্রবাসী আরজ আলীর ছেলে নবম শ্রেণীর ছাত্র মাহিনের সাথে একই পাড়ার হাফিজুল ইসলামের মেয়ে এইচ এসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে ছাত্রী বিয়ের দাবীতে মাহিনের বাড়ীতে অবস্থান নেওয়ার এঘটনা ঘটে।
কিন্তু মাহিনের মা মারুফা খাতুন ওই মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে নারাজ পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং পরের দিন বুধবার সকাল ১১ টার সময় গাংনী থানায় উভয় পক্ষকে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উভয় পক্ষ গাংনী থানায় উপস্থিত হলে মাত্র ৭৫ হাজার টাকায় ঘটনাটি দফা রফা করা হয়েছে। এসময় গাংনী থানার এসআই হাবিবুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়েটির অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে মাহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এর মধ্যে তাদের একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক হওয়ার মত ঘটনা ঘটে। শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হলে ছেলের বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় মেয়ের পরিবার।
এতে প্রেমিকের মা মেনে না নেওয়ায় প্রেমিক মাহিনের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসে প্রেমিকা। বিয়ে না দিলে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকীও দেয় সে।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার এস আই হাবিবুর রহমান জানান, চাচাতো ভাই বোনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো মেয়েটির বয়স ১৮ ও ছেলেটির বয়স ১৪ মেয়েটি বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করায় গতকাল শুক্রবার উভয় পক্ষ থানায় বসে নিজেরা মিমাংসা করে নিয়েছে। মেয়েটির বাবা দিনমুজর হওয়ায় মেয়ের বিয়ের কথা ভেবে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান জানান, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। ওরা নিজেরা নিজেরা বসতে পারে। তবে আমার জানা নেই।