স্টাফরিপোর্টার: আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামে প্রস্তাবিত সরকারি আবাসন প্রকল্পের নালিশী জমিতে আদালত কর্তর্ৃক কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান সত্বেও বালি ভরাটের কাজ অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা ( মোকাম আলমডাঙ্গা) সিনিয়র সহকারি জজ আদালত কতর্ৃক সহকারি কমিশনার ভুমি আলমডাঙ্গাকে কারণ দর্শনো নোটিশ প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাইবার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কারণ দর্শাইবার আগেই অন্যের পুকুর থেকে বালি উত্তোলন করে নালিশী জমি ভরাট অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে আবাসন প্রকল্পে ও জায়গা ভরাটের আড়ালে অন্যত্রে বিক্রি করা হচ্ছে বালি।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নাগদহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর মৌজার সরকারি খাসজমিতে সরকারি আবাসন প্রকল্পের প্রস্তাবিত জায়গা মাটি ভরাটের ব্যাপারে সিন্ধান্ত হয়েছে। যদিও সেই জমি নিয়ে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে যে,এ জমি নাকি ব্যক্তি মালিকানাধীন কিন্ত নাম খারিজ করা হয়নি।মালিকপক্ষের দাবী ওই জমি এসএ ও সিএস রেকর্ড অনুযায়ী জমি তাদের। এ বিষয়ে নাগদহ গ্রামের মৃত রফিউদ্দিন জোয়ার্দ্দারের পুত্র নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা ( মোকাম আলমডাঙ্গা) সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে অভিযোগ করেছিলেন। আদালত শুনানী শেষে কারণ দর্শনার নোটিশ প্রদান করেন।
এদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ভুমি হুমায়ুন কবীর বলেন,আরএস রেকর্ড অনুযায়ী ওই জমি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত।
বাদী পক্ষ ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে, বালি দিয়ে জমি ভরাট তো চলছেই । এর আড়ালে জমি ভরাটের দায়িক্ত প্রাপ্ত দু-জন প্রতিনিধি (সরোয়ার ও বাহাদুর মেম্বর), পুকুর মালিক লুডু মিয়া ও লাটাহাম্বার মালিক মোমিনের যোগে-সাজসে অন্যত্রে বালি বিক্রয় করা হচ্ছে। অভিযোগে রয়েছে পার্শ্ববতর্ী গ্রাম দমদমার আনোয়ারের নিকট বালি বিক্রয় করা হয়েছে। এ বিষয়ে নাগদহ ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলমডাঙ্গা এসিল্যান্ড অফিস থেকে কোন কারণ দর্শণার নোটিশ আমার হাতে পৌছায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *