উথলী প্রতিনিধিঃ জীবননগর উপজেলার উথলী হেল্প বহুমুখী সমবায় সমিতি নামের এক ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে শ্রীমতী মিতা রাণী রাজবংশী নামের এক এনজিও কর্মি।গত বুধবার গভীর রাতে সে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে।হেল্প বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন জানান,”উথলী গ্রামের মালোপাড়ার শ্রীমতী মিতা রাণী রাজবংশী আমার ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠানের একজন দির্ঘদিনের কর্মচারী,সে বিভিন্ন গ্রাহক ও এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে বসতবাড়ি প্রতিবেশী ফরজ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের নিকট বিক্রি করে স্বামী শ্রী সুকেন কুমার রাজবংশী,মেয়ে শ্রাবন্তী সহ শ্বশুর,শাশুড়ি,দেবর,দেবরের বউ কে নিয়ে গতরাতে গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে”। গতকাল বৃহঃবার অভিযুক্ত শ্রীমতী রাণীর বাড়িতে গিয়ে কাওকে খুজে পাইনি ঋণদান সংস্থার মালিকেরা।অর্থ আত্মসাৎ কারির প্রতিবেশীরা জানায়,শ্রীমতী মিতা রানী প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দামের জমি সহ বসতবাড়ি গোপনে মাত্র ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে সবার অজান্তে গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে।এদিকে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে জামানত হিসেবে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়াই দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঋণগ্রহীতারা। অন্যদিকে মোটা অংকের টাকা খোয়া যাওয়াই হতাশ হেল্প বহুমুখী সমিতির মালিকেরা।এলাকাবাসির ধারনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া করছে শ্রীমতী মিতা রাণী ও তার পরিবার।এর আগেও শ্রীমতী মিতা রাণী একাধিক বার অর্থ আত্মসাৎ করতে গিয়ে ধরা পড়লেও ম্যানেজার মহিউদ্দীন ঋণদান সংস্থার মালিকদের না জানিয়ে বিষয়টা মীমাংসা করে দেয়েছে।উথলী গ্রামের মালো পাড়ার ফরজ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের সহযোগীতায় অভিযুক্ত মিতা রাণী গ্রাম থেকে পালিয়েছে বলে অভিযোগ হেল্প বহুমুখী সমবায় সমিতির মালিকদের।সে উথলী এলাকার আরও কয়েটি ঋণদান সংস্থা থেকেও টাকা উত্তোলন করেছে বলেও জানা গেছে।এই বিষয়ে জীবননগর থানা পুলিশকে অবগতি করেছে ঋণদান সংস্থার মালিকেরা।