বিশেষ প্রতিনিধি: বাবার স্বপ্নকে পূরন এবং বড় ভাইয়ের আদর্শকে লালন করে জনগণের সেবক হিসাবে তাদের পাশে থাকতে চাই। যারা সমাজের ছিন্নমূল, কোন আয়-রোজগার নেই, বেকার এবং কোন কর্মসংস্থনের ব্যবস্থা নেই তাদেরকে পৌরকর ফ্রি করাসহ সকল নাগরিক সুবিধা দেয়া হবে। পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরবাসিকে যানজট মুক্ত, পরিচ্ছন্ন একটি পৌরসভা উপহার দেয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে একটি আধুনিক মানের পৌরসভায় রুপান্তরিত করা হবে। কথাগুলো বলেন আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ। দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হলে মেয়র হিসাবে না, জনগণের সেবক হয়ে তাদের পাশে থাকতে চাই। তিনি আসন্ন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে নতুন মুখ হিসাবে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টায় প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের আরমপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে ও পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর প্রয়াত একরামুল হক মুক্তার ছোট ভাই।
হঠাৎ জনপ্রতিনিধি হওয়া এবং নির্বাচনে আসার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট বেলায় বাবাকে দেখেছি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের পাশে থেকে কিভাবে তাদেরকে সেবা করেন। তিনি বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে একটি আধুনিকমানের পৌরসভা হিসাবে গড়ে তোলা। বড়ভাই একরামুল হক মুক্তা ছিলেন সদালাপি, হাস্যোজ্জল এবং জনগণের প্রকৃত সেবক। বড় ভাইয়ের আকর্শিক মৃত্যুতে সবকিছু যেন থমকে গেছে। পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ও বাবার আদর্শকে সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এবং একজন আইনজীবি হিসাবে সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা রক্ষায় আসন্ন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসাবে সাধারণ মানুষের দোয়া কামনা করছি।
পৌর মেয়র নির্বাচিত হলে করনীয় বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তাহলেই বাবা এবং ভাইয়ের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করতে পারবো।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান সমস্য হলো পৌর কর। নির্বাচিত হলে আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে পৌরকর নির্ধারণ করা হবে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে নতুন করে গোড়ে তোলা।
পৌর এলাকায় যারা ছিন্নমূল, যাদের কোন আয়রোজগার নেই, অসুস্থ, গরীব ও অসহায় নাগরীকদের পৌরকর ফ্রি করাসহ সম্পূর্ণ নাগরীক সুবিধা দেয়া হবে।
অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ সংসার জীবনে দুই সন্তানের জনক। স্ত্রী নাছরিন আরা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কালিপদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বড় ছেলে ইব্রাহিম দাউদ চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এবং ছোট ছেলে ইফতেখার আহমেদ ৫ম শ্রেণির ছাত্র। পরিবারের সকলের অনুপ্রেরণায় তিনি আসন্ন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *