পশ্চিমাঞ্চল অনলাইন সংস্করণ:সব নাগরিক যদি মুখে মাস্ক না পরেন তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শুক্রবার সেখানে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮৪ হাজার ২১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দিনে এমন সতর্কতা দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স এন্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই)। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এখন শীতকাল সমাগত। এ সময়ে মানুষ বেশি করে ঘরের ভিতরে অবস্থান করে। ঘরের ভিতর বাতাস আসা-যাওয়া বন্ধই থাকে বলা যায়। এ অবস্থায় সেখানে করোনা ভাইরাসের বিস্তার দ্রুততর হতে পারে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, আইএইচএমই-এর পরিচালক ক্রিস মারে বলেছেন, তারা এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন সবাই মাস্ক না পরলে ফেব্রুয়ারি নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লক্ষাধিক মানুষ মারা যেতে পারেন।

তার ভাষায়, শীতের সময়ে আমরা এক ভয়াবহ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি এর আগে যে সুপারিশ করেছেন, তাই-ই যেন প্রতিধ্বনি করেছে আইএইচএমই। তারা বলেছে, যদি শতকরা ৯৫ ভাগ মার্কিনি মুখে মাস্ক পরতেন তাহলে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু কম হতো। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন শুক্রবার। রয়টার্সের হিসাব বলছে, এই সংখ্যা ৮৪ হাজার ২১৮। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ১৬ই জুলাইয়ে ৭৭ হাজার ২৯৯। একমাত্র ভারতেই এ যাবত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্তের রেকর্ড আছে। সেখানে ১৭ই সেপ্টেম্বর একদিনে আক্রান্ত হন ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার বলেছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্য বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ব্যক্তিবিশেষের আচরণ। এ ছাড়া ঘরের ভিতর অনেক মানুষ উপস্থিত থাকলেও তা থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ওদিকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র করোনার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। এ বিষয়ে অ্যালেক্স আজার বলেছেন, ট্রাম্প হয়তো টিকা আসা পর্যন্ত মার্কিনিদের মধ্যে আশাবাদ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ওদিকে আগামী ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যে সব সুইংস্টেটের মার মধ্যে অন্যতম পেনসিলভ্যানিয়া। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর একদিনে সেখানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার পেনসিলভ্যানিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বছর এপ্রিলে যে পরিমাণ মানুষকে সংক্রমিত হতে দেখা গিয়েছিল এখন তার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া একদিনে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছেন আলাক্সা, আরকানসাস, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলাইনা, নর্থ ডাকোটা, ওহাইও, উইসকনসিন ও ওয়েমিংয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *