আলমডাঙ্গা অফিস : আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে জেহালা ফুটবল মাঠে আলমডাঙ্গা থানা আয়োজিত অনুষ্ঠিত এ আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হান্নান শাহ ,আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আব্দুল হান্নান মাষ্টার । আলমডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মাসুদুর রহমানের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেহালা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আসের আলী,এএস আই ইলিয়াস হোসেন,জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মঈন আহম্মেদ প্রমুখ।সভা শেষে জেহালা ইউনিয়ন ১০ নং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রশান অতিথি পুলিশ সুপার জাইদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজে অর্ধেক নারি,অর্ধেক পুরুষ,তাই নারীদের পিছনে ফেলে রেখে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।বর্তমান সমাজে এখনও পুলিশ দেখলে গ্রামের মেয়েরা ভয়ে মুখ লুকায়,কিন্ত পুলিশ তো বাঘ,ভাল্লুক নয়,আপনাদেরই সন্তান।আপনারা যদি পুলিশকে সহায়তা না করেন তাহলে আমরা সামাজিক ভাবে আপনাদের উন্নয়ন মুলক কাজে পাশে থাকব কেমন করে।মনে রাখবেন পুলিশ জনগনের সেবক,আমরা শোষক নয়,আমরা রাতদিন আপনাদের সেবা দিয়ে থাকি,আপনার ছেলে চাকরি পেলে তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আমরা দেই,আপনাদের ইউনিয়নের মাদার হুদা গ্রামে ডাকাতি হয়েছিল,আমরা তদন্ত করেছি,কাউকে অহেতুক হয়রানি করি নাই,!ধরার পর অনেকে তদবির করেছে,এখানে হান্নান সাহেব বসে আছেন,উনিও গেছেন,পৌর মেয়রসহ অনেকেই আমাদের কাছে যাবে,আমরা কিন্ত সঠিক তদন্ত করে যারা প্রকৃত দোষি তাদের ছাড়া কোন ভাল মানুষ কে হয়রানি করি না।সেই মামলার প্রকৃত আসামিকে আমরা গ্রেফাতার করতে সক্ষম হয়েছিলাম। মনে রাখবেন সমাজে মীর জাফর ও আছে ভাল মানুষ আছে,আপনাদের বিভিন্ন কাজে থানায় যেতে হয়,জিডি করেন,মামলা করেন,অভিযোগ করেন যে কোন কাজে আমরা আপনাদের সেবা দিয়ে থাকি,যদি সেবা দিতে কেউ আপনাদের হয়রানি করে আমাকে জানাবেন।আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়,তাই পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে আপনাদের সেবা করবে।মনে রাখবেন , বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভুমিকা অবিস্মরনীয়। রাজারবাগে পুলিশ লাইনে প্রথম পাকিস্তানি হানাদারদের বির“দ্ধে প্রতিরোধ করেছিল। পাকিস্তানী সৈনের বির“দ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ বাহিনি,শুধু তাই নয়,পাকিস্থানি সেনারা রাজার বাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র পুলিশদের হত্যা করে,সেদিন অসংখ্য পুলিশ সদস্য শহীদ হন। কিন্তু পুলিশের স্বাধীনতা পদক পেতে ২০১১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশকে স্বাধীনতা পদকে ভুষিত করেন।