আজ দর্শনা কেরুজ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন :
প্রায় জয়ের বন্দরে সাধারন সম্পাদক মাসুদ সঙ্গী হচ্ছেন কে?!
দর্শনা অফিসঃ আজ দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচন।আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে কেরুজ পুরাতন উচ্চ বিদ্যালয় ভবনে ভোট গ্রহণ হবে। আর সেখানে গোপন ব্যালট পেপারে ভোটারেরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। আর এ ভোটদান শেষে ফলাফলের মাধ্যমে মিলবে জয়-পরাজয়ের হিসাব নিকাশ।
নির্বাচনে ৭টি ওয়ার্ডে ১৩টি পদের বিপরীতে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ ৩০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছে একে,অপর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সঙ্গে। মোট ১০৮৬জন ভোটার গোপন ব্যালট পেপারে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে।
এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সভাপতি পদে তৈয়ব আলী সংগঠনের কর্ণধর বর্তমান সভাপতি তৈয়ব আলী (চাঁদতারা) ও সবুজ সংগঠণের কর্ণধর ফিরােজ আহম্মেদ সবুজ (হারিকেন) প্রতিক নিয়ে।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে ভােটযুদ্ধে মাঠে আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সংগঠনের কর্ণধর মাসুদুর রহমান মাসুদ (বাইসাইকেল) ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স সংগঠনের কর্ণধর মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (ছাতা) প্রতিক নিয়ে।
এছাড়াও নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পাশাপাশি সহ-সভপতি পদে প্রতিদ্বন্দিতা ৪জন। এদের মধ্যে ফারুক আহম্মেদ (মোরগ), মোস্তাফিজুর রহমান (চেয়ার), এএসএম কবির (হাতপাখা) ও আবু সাঈদ হোসেন (মাছ)। সাধারন সম্পাদক পদে-২জন। এদের মধ্যে মাসুদুর রহমান মাসুদ (সাইকেল) ও মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (ছাতা)। সহ-সাধারন সম্পাদক পদে-৪জন। এদের মধ্যে আকরাম হোসেন (কলস), খবির উদ্দিন (কাপপিরিচ), ইসমাইল হোসেন (তালাচাবি) ও ইকরামুল হক খলিল (ফুটবল)।
সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ড (প্রশাসন ও হিসাব বিভাগ)-২জন। এদের মধ্যে সেলিম খান (বালতি) ও সালাহ উদ্দিন (ডাব)।
২নং ওয়ার্ড (চোলাই কারখানা বিভাগ)-২ জন। এদের মধ্যে বাবর আলী (বেলচা) ও আমিনুল ইসলাম (ডাব)।
৩নং ওয়ার্ড (পরিবহন বিভাগ)-২জন। এদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম (টর্চ লাইট) ও শফিকুল ইসলাম (ডাব)। ৪নং ওয়ার্ড (ঈক্ষু সংগ্রহ)-২জন। এদের মধ্যে ইয়মিন হক (আখের আটি) ও মতিয়ার রহমান (ডাব)। ৫নং ওয়ার্ড (ঈক্ষু উন্নয়ন)-২জন। এদের মধ্যে সাইফুদ্দিন (ডাব) ও হারিজুল ইসলাম (আখের আটি)। ৬নং ওয়ার্ড (উৎপাদন)-৪জন। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান (বেলচা), মজিবর রহমান (ডাব), নুরুল ইসলাম (আখের আটি) ও মোহন আলী (হাতুড়ি)। ৭নং ওয়ার্ড (প্রকৌশলী)-৪জন। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম (আখের আটি), আজাদ আলী (হাতুড়ি), মফিজুর রহমান (বেলচা) ও ইদ্রিস আলী (কাঁঠাল) প্রতীক নিয়ে সহ-সভাপতি ও সহ-সম্পাদক প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীরা স্ব,স্ব ওয়ার্ড নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সাথে।
নির্বাচনের লক্ষে সকলে আগে থেকে তাদের প্রার্থীতা হিসাবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে প্রচার-প্রচারনা চালানোর পাশাপাশি ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনায় কাজ শুরু করেন।
আর নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারন হওয়ার সাথে,সাথে জড়ালো প্রচারনায় নির্বাচনী মাঠে নেমেছিল  প্রার্থীরা।
নির্বাচনের যতই দিন ঘুনিয়ে আসতে থাকে ততই যেন ব্যাস্ত হয়ে পড়েন প্রার্থীরা।

এ ভোট নিয়ে একেক জনের একেক ধরনের মন্তব্য। মন্তব্যের কোন শেষ নেই।  তবে জয়ে ব্যাপারে সকল প্রার্থীই রয়েছে শতভাগ আশাবাদি। নির্বাচনে সাধারন ভােটারদের সমীকরণে অনেকটায় পরিস্কার সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ের একেবারে দ্বার প্রান্তে রয়েছে মাসুদুর রহমান মাসুদ। আর সাধারন সম্পাদের
সঙ্গী হতে পারেন সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ এমনটায় আশা করছেন সাধারন ভোটারেরা।
তারপরেও কেরুজ নির্বাচন বলে কথা। শেষ সীল এবং শেষ ব্যালট পেপার গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ভাটারদের।
কেরুজ এলাকার সাধারন ভোটার ও অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের মতে এবারের নির্বাচনে আগে ভাগেই বাতাস বাইতে শুরু করেছে নিজস্ব ভােট ব্যাংক মজবুত থাকার কারণে ৭ বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক পুনঃরায় ৮ম বারের মত সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন বলে সাধারন শ্রমিকদের ধারনা।
তাই তিনি যাকে পছদ করবেন তিনিই হবেন সভাপতি এমনটাই মনে করছেন সাধারন ভােটারেরা। তবে এখন পর্য়ন্ত তেমন কিছু শােনা বা চােঁখে পড়েনি পছন্দ বা অপছন্দের বিষয়টি। শেষমুহূর্ত পর্যন্ত মাসুদকে কাছে পেতে সভাপতি প্রার্থীরা জাের লবিং চালালেও মনগলেনি তার।  এবার আগেভাগে প্যানেল না হওয়াতে সভাপতিকে হচ্ছেন সে বিষয়টি থেকেই যাচ্ছে ধােঁয়াশার মধ্যে। তবে ভােটারদের সভাপতি হিসাবে নতুন মুখের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। আবার এমনটাও ঘটে থাকে ভােটকেন্দ্রে প্রবেশ করে একবারে শেষ মুহূর্তে প্রকাশ্য রূপ নিয়ে থাকে কে কার সাথে কি করতে যাচ্ছেন।  সব প্রশ্নের উত্তর পেতে ভােট গণনার শেষ ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *